ঢাকা, বুধবার, ১৭ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

রসিক নির্বাচন : ব্যানার-ফেস্টুন খুলে ফেলছেন প্রার্থীরা
নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর
ব্যানার-ফেস্টুন খুলে ফেলছেন প্রার্থীরা

রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে সামেনে রেখে মেয়র ও কাউন্সিলর পদের সম্ভাব্য প্রার্থীদের শুরু করা আগাম প্রচারের রঙিন পোস্টার-ফেস্টুন খুলে ফেলতে শুরু করেছে। বেশ কয়েকজন প্রার্থী নিজ উদ্যোগে পোস্টার-ফেস্টুন খুলে ফেলা শুরু করেছেন।

মঙ্গলবার দুপুরে নগরীর শাপলা চত্বর মোড়ে জাতীয় পার্টির পোস্টার, ফেস্টুন খুলে ফেলতে দেখা গেছে। নির্বাচন অফিস বলছে, আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়, এমন কিছু সহ্য করা হবে না। পোস্টার-ফেস্টুন খোলার জন্য প্রার্থীদের নোটিশ দেয়া হবে। পাশাপাশি চলবে ভ্রাম্যমাণ আদালতও।

নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, নগরীর যেসব স্থানে ফেস্টুন, ব্যানার, বিলবোর্ড ও পোস্টার লাগানো হয়েছে, তা নিজ দায়িত্বে সরিয়ে নিতে সংশ্লিষ্ট সম্ভাব্য প্রার্থীদের আহ্বান জানানো হচ্ছে। নির্ধারিত সময়সীমার পর নগরীতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে। নির্ধারিত সময়সীমার পর যাদের ব্যানার, পোস্টার, ফেস্টুন ও বিলবোর্ড পাওয়া যাবে, তাদের বিরুদ্ধে আইগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সিটি নির্বাচন আইনবিধি অনুযায়ী, প্রতীক বরাদ্দের আগে দলীয় ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর এ ধরনের প্রচারের কোনো সুযোগ নেই। এ সময় নির্বাচন সংক্রান্ত দেয়াল লিখন, পোস্টার, বিলবোর্ড, ব্যানার, তোরণ ও গেইট তৈরি পুরোপুরি নিষিদ্ধ। দেয়াল লিখন ও পোস্টার লাগানো (নিয়ন্ত্রণ) আইন অনুযায়ী নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে পোস্টার, ফেস্টুন, বিলবোর্ড ও ব্যানার অপসারণ করা না হলে জরিমানা ও কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।

আগামী ২৭ ডিসেম্বর রংপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে তফসিল প্রকাশ করা হয়েছে। নির্বাচনের প্রচারের জন্য ব্যবহৃত ফেস্টুন, ব্যানার ও বিলবোর্ডে রংপুর নগরীর বিভিন্ন অলি-গলি, বিদ্যুৎ ও টেলিফোনের খুঁটি এবং সরকারি-বেসরকারি স্থপনাগুলো ছেয়ে গিয়েছিল। ভ্রাম্যমাণ আদালতের ভয়ে প্রার্থীরা নিজ নিজ দায়িত্বে ব্যানার-ফেস্টুন খুলে নিতে শুরু করেছেন।

জাতীয় পার্টির মেয়র পদপ্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা জানান, আইনের প্রতি আমি শ্রদ্ধাশীল। ফেস্টুন ও বিলবোর্ড অপসারণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে সেগুলো অপসারণ শুরু করেছি। বর্তমানে এ সিটির জনসংখ্যা প্রায় ১০ লাখ। আর ভোটার আছে চার লাখের বেশি। ২০১৭ সালের দ্বিতীয় নির্বাচনের সময় ভোটার ছিল ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৯৯৪ জন।

জেলা নির্বাচন অফিসার ফরহাদ হোসেন বলেন, সম্ভাব্য প্রার্থীরা নির্বাচনের প্রচারের জন্য ব্যবহৃত সকল ফেস্টুন, বিলবোর্ড ও পোস্টার নিজ দায়িত্বে সরিয়ে নিতে শুরু করেছেন। কেউ যদি না সরান, তা হলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বিডি প্রতিদিন/এমআই



এই পাতার আরো খবর