আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, আমরা গরুবাহী পরিবহনের ও হাটের জন্য একটি নির্দেশনা দিয়েছি। গরুবাহী পরিবহন যে হাটে যাবে তারা যেন পরিবহনের সামনে ও পেছনে হাটের নামসহ ব্যানার সাটিয়ে দেয়। এতে সড়কে কেউ গরুবাহী পরিবহন নিয়ে টানাহেঁচড়া করতে পারবে না। করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে আমাদের পুলিশের প্রতিনিধিদের নির্দেশনা দেওয়া রয়েছে।
ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক ও নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কে শনিবার বিকাল ৩টার দিকে যানচলাচল ও শৃঙ্খলা পরিদর্শন শেষে বাইপাইল ত্রিমোড়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
আইজিপি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ নিয়ে এক সময় মানুষ যে কটাক্ষ করতো, সেই ডিজিটাল বাংলাদেশ আজ বাস্তবে রূপান্তর হয়েছে। গর্বের পদ্মা সেতু এখন আমাদের বাস্তবতা। আপনারা দেখেছেন আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি চরম অবনতির দিকে ছিল, সেখান থেকে আমরা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে যারা আছি, সবাইকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করে আইন-শৃঙ্খলাকে সমুন্নত রেখেছি। নিরবচ্ছিন্নভাবে আমরা দায়িত্ব পালন করছি।
তিনি বলেন, গতবার আপনাদের সামনে এসে বলেছিলাম আমরা আমাদের সর্বোচ্চটুকু দিয়ে চেষ্টা করবো যেন সাধারণ মানুষ ঈদে ভোগান্তি ছাড়াই বাড়িতে যেতে পারে। এ লক্ষ্যে আমাদের সদস্যরা কাজ করেছেন। দেশের মানুষ বলেছে, আমাদের প্রচেষ্টা সফল হয়েছে। এ সফলতা অর্জন সম্ভব হয়েছে পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের সহযোগিতায়। এবারও আমরা চেষ্টা করবো দেশের মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে বাড়ি যেতে পারে। সেই লক্ষ্যে আমাদের পুলিশের সব ইউনিট যার যার অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালন করছে। ড্রোন দিয়ে আমরা আমাদের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করবো।
গতবারে সড়কের পরিস্থিতি ভালো থাকার কথা উল্লেখ করে আইজিপি বলেন, গতবার আমাদের চ্যালেঞ্জ ছিল একটি, এবার আমাদের চ্যালেঞ্জ রয়েছে তিনটি। গতবার আমাদের একটি চ্যালেঞ্জ ছিল সুরক্ষিতভাবে যাত্রীদের বাড়িতে পাঠানো ও ফেরত আনা। এবারের তিনটি চ্যালেঞ্জ হলো- পশুর হাটের নিরাপত্তা ও পশুবাহী ট্রাকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। এছাড়া এ সময় মৌসুমি ফলবাহী পরিবহনের যাতে কোনো সমস্যা না হয় তা নিশ্চিত করা।
এসময় হাইওয়ে পুলিশের প্রধান, শিল্প পুলিশের প্রধানসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত