ঢাকা, বুধবার, ১৭ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

চূড়ান্ত আন্দোলনের সময় ঘনিয়ে এসেছে : গণতন্ত্র মঞ্চ
অনলাইন ডেস্ক
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণমিছিলের আগে সমাবেশে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা

এক দফা যুগপৎ আন্দোলন কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ শুক্রবার বিকাল ৪টায় গণতন্ত্র মঞ্চের গণ মিছিল পূর্ববর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘চূড়ান্ত আন্দোলনের সময় ঘনিয়ে এসেছে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নানামুখী চাপে পিষ্ট সরকারের বিরুদ্ধে গণ আন্দোলন গড়ে তোলার এখনই সময়। গণতন্ত্র মঞ্চ সেই লক্ষ্যেই অগ্রসর হচ্ছে। সরকার ও শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনের এক দফা দাবিতে গণতন্ত্র মঞ্চের এই লড়াই অব্যাহত থাকবে।’

গত ২৯ জুলাই অবস্থান কর্মসূচিতে বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের ওপর সরকারি দলের হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘পুলিশ তাদের কাউকেই গ্রেফতার করেনি বরং বিএনপি ও গণতন্ত্র মঞ্চসহ বিরোধী দলগুলোর শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে। বিরোধী নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে একের পর এক হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা করে শত শত নেতাকর্মীকে জেলে পাঠাচ্ছে।’

নেতৃবৃন্দ চলমান গণআন্দোলনকে গণঅভ্যুত্থানের পথে নিয়ে যেতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান। 

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের সভাপতিত্বে গণমিছিল পূর্ববর্তী এই সমাবেশে বক্তব্য দেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহবায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রা্ষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ূম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল - জেএসডির সহসভাপতি মিসেস তানিয়া রব।

সভাপতির বক্তব্যে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘সরকার ও সরকারি দল পুরোপুরি দেউলিয়া বলেই তাদের  বিরোধীদলের লেজুড়বৃত্তি করতে হচ্ছে, বিরোধী দলের পিছনে পিছনে হাঁটতে হচ্ছে।’ 

তিনি বলেন, ‘সরকার ও সরকারি দল দেশের জনগণের সকল অধিকার হরণ করেছে। সারা পৃথিবী অগণতান্ত্রিক এই সরকারকে ধিক্কার জানাচ্ছে।’ 

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘১৫ বছর ধরে অবৈধ ক্ষমতাসীন সরকার অত্যাচার, নিপীড়ন, নির্যাতন চালিয়েছে। মামলা, গ্রেফতার করে বিরোধী রাজনৈতিক শক্তিকে দমন করেছে। লুটপাট, দুর্নীতির মাধ্যমে লাখ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে তারা দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে। এখন সেসব তথ্য বের হয়ে আসছে। তারা কেউ ছাড় পাবে না।’ 

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘বিরোধী দলগুলোর শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ ও সরকার দলীয়দের হামলা আক্রমণ রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসেরই নমুনা। নিজেদের অবৈধ ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে আতঙ্ক থেকেই তারা দমন নিপীড়ন ও সন্ত্রাসের পথ গ্রহণ করেছে। এসব মোকাবিলা করেই দেশের মানুষ এবার নিজের অধিকার ও মুক্তি অর্জন করবে।’ 

ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেন, ‘অবৈধ ক্ষমতাসীন সরকার সারা পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। সকল গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র এই সরকারের ওপর থেকে সমর্থন তুলে নিয়েছে। তাদের পায়ের তলায় মাটি নেই।’

রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম বলেন, ‘অবৈধ ক্ষমতাসীন সরকার দেশটাকে মগের মুল্লুক বানিয়েছে। দেশের সকল সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছে।’

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সহ-সভাপতি মিসেস তানিয়া রব বলেন, ‘জনগণের ভোটের অধিকার হরণকারী এই সরকার গণ আন্দোলনকে ভয় পেতে শুরু করেছে। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনেই তারা বেসামাল হয়ে উঠছে। দেশের মানুষ এবার পরিবর্তনের যে আকাঙ্ক্ষা নিয়ে রাজপথে নেমেছে তারা তা বাস্তবায়ন করবে।’

বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ



এই পাতার আরো খবর