ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

এবার ঘণ্টা বাজানোর সময় এসেছে : শামীম ওসমান
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান। ফাইল ছবি

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) এ কে এম শামীম ওসমান বলেছেন, আমাদের গালি দেক কোনো সমস্যা নাই। কিন্তু নারায়ণগঞ্জের রাজপথে দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধু আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করবে, একদম স্পষ্ট কথা এগুলো সহ্য করবো না। এগুলো মেনে নেওয়ার মতো না। অন্তত আমরা মেনে নিতে পারবো না। আমরা যারা ৭৫-এর পরে রাজনীতিতে এসেছি, তারা শেখ হাসিনাকে মায়ের দৃষ্টিতে দেখি। ওরা আমাদের মাকে নিয়ে অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করবে, এটাতো আমরা মেনে নেব না। এমন কর্মকাণ্ড আমরা মেনে নিতে পারি না। তাই মনে হয়েছে এবার ঘণ্টা বাজানোর সময় এসেছে। কারণ দেশের সবগুলো আন্দোলন শুরু হয়েছে এ নারায়ণগঞ্জ থেকে। তাই নারায়ণগঞ্জেই আমাদের ঘণ্টা বাজাতে হবে।

সোমাবার বিকেল ৩টায় নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে এক কর্মীসভায় তিনি এসব কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন সোনারগাঁও আওয়ামী লীগের সভাপতি সামছুল ইসলাম ভূইয়া। উপস্থিত ছিলেন সাবেক এমপি আবদুল্লাহ আল কায়সার হাসনাতসহ প্রমুখ।

শামীম ওসমান বলেন, আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের সমাবেশ হবে। সেদিন নারায়ণগঞ্জের মানুষ দেখিয়ে দেবে। নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের ঘাঁটি ছিল, আছে এবং থাকবে। আপনারা ১৬ তারিখ দেখিয়ে দেবেন, আমরা ঘণ্টা বাজিয়ে এমন আওয়াজ তুলব, যা সারাদেশে বেজে উঠবে। আর বলে রাখি আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনাই হবেন সরকার প্রধান।

বিএনপি নেতাকর্মীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, সকালে ঠিকমতো জোরে কাশি দিলে নারায়ণগঞ্জ শহর ফাঁকা হয়ে যাবে অর্ধেক। অথচ তারাই এখন কাচের ঘরে থেকে আমাদের নিয়ে নানা ধরনের কথা বলেন। নারায়ণগঞ্জে একজন আছেন, যিনি বলেছেন পুলিশ ছাড়া নামতে। আমি পুলিশের কাছে অনুরোধ করছি, আপনাদের যত পুলিশ আছে, সব তাদের পক্ষে যান। সব নিয়ে ঘোষণা করেন পুলিশ আমাদের পক্ষে আছে। তারপর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নারায়ণগঞ্জ ছাড়া করে দেব।

শামীম ওসমান বলেন, রাজনীতিতে কিছু হিসাব-নিকাশের বিষয় আছে। আমি যে সব জানি তা না। তবে খোঁজ-খবর রাখি। ওরা ষড়যন্ত্রের খেলায় মেতে উঠেছে। ওরা তারাই, যারা স্বাধীনতার সময় ৩০ লাখ মানুষের জীবন নিয়েছিল। দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রম নিয়েছিল। ওরা ইসলামের কথা বলে মানুষ জবাই করেছিল। আমরা কি এই জন্য মাঠে নামবো, না, এই জন্য মাঠে নামবো না। নামবো স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তির জানান দিতে। কী লজ্জা আমাদের? এই শহীদদের রক্তের বিনিময়ে স্বাধীন দেশ রক্ষা করতে আমাদের এক হতে হয়। এই বয়সে মুক্তিযোদ্ধাদের রাস্তায় নেমে স্লোগান দিতে হয়। সেই সময়ে মুক্তিযোদ্ধারা স্লোগান দিয়েছিলেন, ‘বীর বাঙালি অস্ত্র ধর, বাংলাদেশ স্বাধীন কর’। আর আজকে আমাদের স্লোগান ধরতে হয়, ‘বীর বাঙালি ঐক্য গড়ো, বাংলাদেশ রক্ষা কর’।

বিডি প্রতিদিন/এমআই



এই পাতার আরো খবর