রাজধানীতে মহাখালীর আমতলী এলাকায় খাজা টাওয়ারে আগুনের ঘটনায় মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম (৬৩) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে দুজনে। বৃহস্পতিবার বিকেলে খাজা টাওয়ারে ১৪ তলা ভবনের ১৩ তলায় আগুন লাগে।
নিহতের ছেলে নাজমুস সাকিব জানান, তার বাবা একজন প্রকৌশলী। খাজা টাওয়ারের ১৩ তলায় সাইফ পাওয়ার টেকে প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
জানা গেছে, রফিকুল ইসলামকে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর রাত ১২টা ২০ মিনিটে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার বাসা মিরপুর ১ নম্বর সেকশনের শাহ আলীবাগ সলিমুল্লাহ মার্কেট রোডে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, মরদেহটি হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
এর আগে, ভবন থেকে নামতে গিয়ে তার ছিঁড়ে এক নারীর মৃত্যু হয়। তার নাম হাসনা হেনা (২৭)। তিনি ওই ভবনে অরবিট নামে একটি ইন্টারনেট সার্ভিস কোম্পানির সেলসে কাজ করতেন। তার বাড়ি গাইবান্ধার জেলার গোবিন্দগঞ্জে।
কোম্পানিটির ডেপুটি ম্যানেজার নাজমুল হুদা জানান, হাসনা হেনা ৯ তলায় কাজ করতেন। আগুনের আতঙ্কে ইন্টারনেটের তার ধরে গ্রিল টপকে নামার সময় তার ছিঁড়ে পড়ে যান।
বিডি প্রতিদিন/এমআই