ঢাকা, বুধবার, ১৭ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

যাত্রাবাড়ীতে সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বে তরুণ নিহত
জিজ্ঞেসাবাদের জন্য হাসপাতাল থেকে উভয় গ্রুপের পাঁচজন আটক
ঢাকা মেডিকেল প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে সিনিয়র জুনিয়র দ্বন্দ্বে জেরে মো. জামাল (১৮) নামে ছুরিকাঘাতে এক তরুণ নিহত হয়েছেন।

বুধবার রাতে কুতুবখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে ঘটনাটি ঘটে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালে নিয়ে আসা নিহতের বন্ধু আসাদুল্লাহ। 

রাত সোয়া ৯ টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. জামালকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আমির হোসেন (২৩) নামে সিনিয়র গ্রুপের একজন। তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

তিনি বলেন, আমি কোচিংয়ে গিয়েছিলাম। কোচিং শেষ করে কুতুবখালী স্কুলের পাশে (ঘটনাস্থল) যাই। সেখানে জামাল, সজিব, সুমনসহ কয়েকজন বন্ধু দাঁড়িয়ে ছিলাম। সে সময়ে সিনিয়র গ্রুপের সিফাত, জামালকে ডেকে পাশে নিয়ে যায়।

কিছু সময় পর সিফাতের চিৎকার শুনে আমরা এগিয়ে যাই। সেখানে মারামারির ঘটনা ঘটে। পরে আমরা জামালকে উদ্ধার করে রক্তাক্ত অবস্থায় ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে আসি। তবে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে জানান।

আহত আমির হোসেনকে (২৩) নিয়ে আসেন তার বন্ধু ইমন গাজী। আমির হোসেন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ইমন গাজী জানান, গত দুদিন আগে জামালদের সঙ্গে কোনো কিছু নিয়ে দ্বন্দ্বে হয়েছিল। আজকে সে বিষয় নিয়ে কথা-কাটাকাটি ও  মারামারি হয়। এতে সে আহত হয়।

ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, নিহতের মরদেহ ঢামেক মর্গে রাখা হয়েছে। আহত যুবক পুলিশ পাহারায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এদিকে, সংবাদ পেয়ে যাত্রবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সোহেল রানা ঢামেক হাসপাতালে ছুটে আসেন। তিনি হাসপাতাল থেকে সিনিয়র-জুনিয়র গ্রুপের ৫ জনকে জিজ্ঞেসাবাদের জন্য আটক করেন। তারা হচ্ছেন ইমন গাজী, মানিক,  আসাদুল্লাহ, মুজাহিদ, জাহিদ হাসান।

নিহত জামালের গ্রামের বাড়ি বরিশালের ভাবনায়। বাবার নাম মৃত আবুল কালাম চৌধুরী। বর্তমানে কাজলা ভাঙ্গা প্রেস এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন তিনি। তার মা সুফিয়া বেগম বাসাবাড়িতে কাজ করেন। দুই বোন এক ভাইয়ের মধ্যে তিনি ছোট ছিলেন। তিনি একটি কারখানায় ওয়েল্ডিংয়ে কাজ করতেন বলে জানিয়েছেন তার মামা ইকবাল হোসেন। তিনি বলেন, আমরা সংবাদ শুনে হাসপাতালে এসে জামালের মরদেহ দেখতে পাই।

বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ

 



এই পাতার আরো খবর