বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে মর্মান্তিক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় যাদের দায় থাকবে তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস্ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার ফারুক হোসেন।
আজ শনিবার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা বলেন।
উপ-পুলিশ কমিশনার মো. ফারুক হোসেন বলেন, গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে আগুনে এখন পর্যন্ত ৪৬ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে ৪৩ জনের লাশ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকি তিনজনের পরিচয় এখনো সনাক্ত হয়নি। সিআইডি এ তিনজনের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করেছে। পরবর্তীতে যাদের স্বজনরা লাশের সন্ধানে আসবে তাদের ডিএনএ’র সাথে ম্যাচ করিয়ে লাশগুলো তাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। যদি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কেউ না আসে সে ক্ষেত্রে আঞ্জুমান মফিদুলকে লাশ বুঝিয়ে দেয়া হবে এবং তাদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহে রাখা হবে।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনার প্রেক্ষিতে আমরা শুক্রবার চারজনকে আটক করেছি, তারা এখন রমনা থানায় রয়েছে। এই অবহেলাজনিত দুর্ঘটনায় মৃত্যুতে কাদের দায় আছে, ভবন মালিকের দায়, নাকি রেস্টুরেন্ট মালিক ও ম্যানেজারের দায়, কোথায় কোথায় অবহেলা আছে, কোন কোন সংস্থা এখানে কাজ করার কথা ছিল, তারা কীভাবে কাজ করতেছে সব বিষয় আমরা পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ করছি। এরপর যাদের বিরুদ্ধে দায় পাওয়া যাবে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে। আজ মামলা করা হবে, যারা আটক আছে তাদেরকে এই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হবে।
ফারুক হোসেন বলেন, বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি ঢাকা মেট্রোপাল্টন পুলিশও আগুন নিয়ন্ত্রণের আপ্রাণ চেষ্টা করেছে। কর্তব্যরত সার্জেন্ট সর্বপ্রথম আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন এবং তার প্রচেষ্টায় অনেকে জীবন বাঁচাতে সক্ষম হন।
দুর্ঘটনার পরে ফায়ার সার্ভিস এবং রাজউক তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কমিটিগুলো তাদের অনুসন্ধান শেষে রিপোর্ট প্রদান করার পরে যাদের বিরুদ্ধে দায় পাওয়া যাবে তাদের সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তিনি বলেন, এ সকল ঘটনায় মামলা দায়েরের পর পুলিশের কাজ হচ্ছে তদন্ত করে দেখা এ ঘটনার পেছনে কাদের দায় আছে বা কারা দায়ভার বহন করবে। সেই বিষয়টা তদন্ত করে খুঁজে বের করে তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হয় এবং গ্রেফতার করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত