নির্বাচন কমিশনার (ইসি) বেগম রাশেদা সুলতানা বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনে যারা প্রার্থী ছিলেন, তাদের চেয়ে উপজেলা নির্বাচনে যারা প্রার্থী হবেন, তাদের সাথে মানুষের যোগাযোগ বেশি রয়েছে। সুতরাং উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থীদের কারণে ভোটারদের উপস্থিতি বাড়বে। এ ছাড়া প্রার্থীদের সংখ্যা বাড়বে, প্রতিদ্বন্দ্বিতাও বাড়বে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে প্রার্থীদের মাঝে দ্বন্দ্বও সৃষ্টি হতে পারে। এসব বিষয়ে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে।
রবিবার সকালে রংপুর জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে রংপুর বিভাগের সকল জেলার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিয়ে কেউ প্রশ্ন তোলেনি। সবাই প্রশাসনের প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করেছে। আমরা এর ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চাই। সকল প্রার্থীকে সমান দৃষ্টিতে দেখতে হবে। এ ব্যাপারে আমরা গাইড লাইন দেব। আপনারা নির্বাচন কমিশনকে আস্থাশীল করেছেন।
তিনি আরও বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নানা চ্যালেঞ্জ ছিল। আমরা এক সাথে আন্তরিকভাবে কাজ করে সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেছি। আমি ভোটারদের বলতে চাই, আমাদের দক্ষ প্রশাসনিক লোকজন, কর্মী বাহিনী রয়েছে। তারা ইতিমধ্যে তাদের দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে। তাই দক্ষ মানুষদের প্রতি আস্থা রাখুন। ভোটের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে, আরও হবে। আমরা আশা করছি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটারদের উপস্থিতি আরও বাড়বে।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমরা নির্বাচন কমিশনে যোগ দেওয়ার সময় পত্র-পত্রিকায় খবরে দেখেছিলাম যে আমাদের প্রতি মানুষের আস্থাহীনতা ছিল। তখন থেকে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়ে মানুষের ভেতরে কমিশনের প্রতি যে বিরূপ ধারণা ছিল, তা দূর করতে কাজ শুরু করেছি। সকলের সাথে সমন্বয় করে আন্তরিকতা, শ্রদ্ধা, দেশের প্রতি মমত্ববোধ নিয়ে আমরা সেই বিরূপ ধারণাটি দূর করতে পেরেছি।
রংপুর বিভাগীয় কমিশনার হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান, রংপুর রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি পঙ্কজ রায়।
বিডি প্রতিদিন/এমআই