ঢাকা, রবিবার, ২৮ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

রংপুর অঞ্চলে ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয়ের সংকট কাটছে না
নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর
ফাইল ছবি

রংপুর বিভাগে ঢাকাগামী আন্তঃনগর ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয়ের সংকট কাটছে না। টঙ্গীতে ট্রেন দুর্ঘটনার পর থেকে এই অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। ঢাকাগামী প্রতিটি ট্রেন ২ ঘণ্টা থেকে ৬ ঘণ্টা পর্যন্ত লেটে চলাচল করছে। 

লালমনিরহাট ডিভিশনের রেলওয়ের ১০ জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন ছাড়ছে নির্দিষ্ট সময়ের অনেক পরে। ফলে যাত্রীদের ভোগান্তি বাড়ছে। যাত্রীদের অভিযোগ ট্রেন কখন আসবে বা কখন ছাড়বে এ তথ্যও সঠিকভাবে যাত্রীদের জানানো হচ্ছে না।  

পশ্চিমাঞ্চলীয় রেলের লালমনিরহাট ডিভিশন সূত্রে জানা গেছে, এই ডিভিশন থেকে ১০ জোড়া অর্থাৎ ২০টি আন্তঃনগর ট্রেন ঢাকায় যাতায়াত করে। ট্রেনগুলো হচ্ছে রংপুর এক্সপ্রেস, লালমনি এক্সপ্রেস, বুড়িমারি এক্সপ্রেস, কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস, পঞ্চগড় এক্সপ্রেস,একতা, দ্রুতযান, দোলনচাপা, করতোয়া এক্সপ্রেস ও বাংলাবন্ধা এক্সপ্রেস। প্রতিদিন এসব ট্রেনে ৮ থেকে ১০ হাজার যাত্রী ঢাকাসহ বিভিন্নস্থানে যাতায়াত করেন। টঙ্গীতে ট্রেন দুর্ঘটনার এক সপ্তাহ হলেও অবস্থার কোন উন্নতি হয়নি।

শনিবার কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ৬ ঘণ্টা বিলম্বে রংপুর স্টেশনে এসে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। রংপুর থেকে রংপুর এক্সপ্রেস শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ছাড়ার কথা থাকলে ট্রেনটি ২ ঘণ্টা বেশি সময় পরে ছেড়েছে। লালমনি এক্সপ্রেস ২/৩ ঘণ্টা লেটে ছেড়েছে। একইভাবে অন্যান্য ট্রেনগুলো নির্দিষ্ট সময়ের অনেক দেরিতে ছাড়ছে। এসব ট্রেন ঢাকা থেকে দেরিতে ছাড়ায় এই ধীরগতি বলে মনে করছেন রেল সংশ্লিষ্টরা। ফলে অনেকই নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্যে যেতে পারছেন না। ট্রেনের ধীরগতির কারণে অনেকেই জরুরি কাজও করতে পারছেন না। 

যাত্রীদের অভিযোগ, যাত্রীরা রেল স্টেশনে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছেন। ট্রেন কখন আসবে কখন যাবে এর কোনো সঠিক নির্দেশনা নেই স্টেশনগুলোতে। ট্রেনের বিষয়ে সঠিক কোনো তথ্য পাচ্ছেন না বলে অনেক ভুক্তভোগী যাত্রী অভিযোগ করেছেন।

রংপুর এক্সপ্রেসের যাত্রী সামছুজ্জামান জানান, শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও এটি ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে ২ ঘণ্টা দেরিতে। 

রংপুর রেল স্টেশনের সুপার শঙ্কর গাঙ্গুলি, রংপুর একপ্রেসসহ অন্যান্য ট্রেন কিছুটা দেরিতে ছাড়ছে  রেল দুর্ঘটনার কারণে। আশা করি দুই একদিনের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।

বিডি-প্রতিদিন/বাজিত



এই পাতার আরো খবর