ঢাকা, রবিবার, ২৮ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

র‌্যাবের অভিযানে হত্যায় জড়িত ১০ জন গ্রেফতার
অনলাইন ডেস্ক
প্রতীকী ছবি

হবিগঞ্জের লাখাই এলাকায় রুকন হত্যার অন্যতম পরিকল্পনাকারী সাজু মিয়াসহ হত্যাকাণ্ডে জড়িত ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গোপন সংবাদ পেয়ে মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে র‌্যাব-১০-এর একটি দল। গ্রেফতারকৃতরা হলো সাজু মিয়া (৫০), ছাদির মিয়া (৬০), আ. রহিম (৪৮), মফিজ মিয়া (৪২), সিজান মিয়া (৪২), শুকুর মিয়া (৩৯), সালাহ উদ্দিন (৩০), আকাশ মিয়া (২৮), হাদিছ মিয়া (২২) ও নিজাম উদ্দিন (৪৫)। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।

র‌্যাব-১০ সহকারী পুলিশ সুপার ফারজানা হক গণমাধ্যমে জানান, হবিগঞ্জ জেলার লাখাই থানার স্বজনগ্রাম এলাকায় বসবাসকারী সাজু মিয়ার নেতৃত্বে একটি লাঠিয়াল বাহিনী গঠন করা হয়। ওই লাঠিয়াল বাহিনী সংঘবদ্ধভাবে লাখাই থানার বিভিন্ন এলাকায় মারামারি ও প্রভাব বিস্তারসহ নানা অপরাধ করে আসছিল। তাদের এমন কার্যকলাপে কেউ বাধা দিলে তাকে মারধর ও প্রাণনাশের হুমকিসহ ভয়ভীতি প্রদর্শন করতো। ৩১ মার্চ এই লাঠিয়াল বাহিনীর অন্যতম নেতা সাজু মিয়াসহ তিন-চার জন স্বজনগ্রাম এলাকার একটি রাস্তার পাশ থেকে মাটি কেটে তাদের নিজের জমিতে ভরাট করছিল। তখন সাজুকে একই এলাকায় বসবাসকারী রুকন উদ্দিন ও তার ভাই আশরাফ উদ্দিন বলেন, এভাবে মাটি কাটলে রাস্তার ক্ষতি হবে। এ কথায় উত্তেজিত হয়ে সাজু ও মফিজসহ কয়েকজন কোদাল নিয়ে রুকন উদ্দিন ও আশরাফ উদ্দিনের ওপর আক্রমণ করে। এ সময় আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে বিষয়টি মীমাংসা করে দেয়।

কিন্তু একই দিন বিকাল চারটায় সাজু, মফিজ ও তাদের লাঠিয়াল বাহিনীর সদস্যরা রামদা, ফিকল, কুচারশলা, লোহার রড ও লাঠি নিয়ে রুকন উদ্দিনের বাসার সামনে দাঁড়িয়ে গালিগালাজ করতে থাকে। একপর্যায়ে রুকন উদ্দিন বাসা থেকে বেরিয়ে এলে সাজু ও মফিজসহ অন্যরা পিটিয়ে রুকনকে রক্তাক্ত জখম করে। স্বজনরা রুকনকে লাখাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। অবস্থা গুরুতর দেখে সেখানকার ডাক্তাররা তাকে জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন। পরে রুকনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যালে পাঠানো হয়। সেখানে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন। পরবর্তীতে স্বজনরা রুকনকে ধানমন্ডির একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে ৫ এপ্রিল রাতে তিনি মারা যান।

এ ঘটনায় রুকন উদ্দিনের ছেলে বাদী হয়ে লাখাই থানায় সাজু, সাদির ও মফিজসহ ২০ জন এবং অজ্ঞাত আরও ১৫-২০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর আসামিরা আত্মগোপনে চলে যায়। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তাদের মঙ্গলবার রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থেকে গ্রেফতার করা হয়।

বিডি প্রতিদিন/এএ



এই পাতার আরো খবর