ঢাকা, রবিবার, ২৮ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

ফসল বেশি দিন সংরক্ষণে জাত উদ্ভাবনের দাবি
কুমিল্লা প্রতিনিধি

বাংলাদেশের এতো মানুষের খাদ্য চাহিদা পূরণের বিষয়টি নিয়ে বিস্মিত বিশ্ব খাদ্য সংস্থা। নতুন নতুন জাত ও ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির কারণে খাদ্য চাহিদা মেটানো সম্ভব হয়েছে। সে প্রেক্ষিতে কৃষির বিভিন্ন বিভাগ কাজ করছে। বর্তমান সরকার বিজ্ঞানী ও কৃষির বিভিন্ন বিভাগকে উব্ধুদ্ধ করে যাচ্ছে। 

বক্তারা আরও বলেন, এই অঞ্চলে সবজির হিমাগার নেই। সেনিরিখে জাত উদ্ভাবন করতে হবে যাতে ফসল স্বাভাবিকভাবে বেশি দিন সংরক্ষণ করা যায়। এছাড়া কুমড়াসহ বিভিন্ন ফসলের ভোক্তার চাহিদা মোতাবেক জাত উদ্ভাবনেরও পরামর্শ দেয়া হয়।

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) কুমিল্লা অঞ্চলের কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন। গত ১৫-১৬ মে দুই দিনব্যাপী আঞ্চলিক গবেষণা-সম্প্রসারণ পর্যালোচনা ও কর্মসূচি প্রণয়ন কর্মশালা বারি, কুমিল্লার সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।

গত ২০২৩-২৪ সনে যে সকল গবেষণা কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছিল সেগুলোর মূল্যায়ন এবং এসব অভিজ্ঞতার আলোকে ও অঞ্চলের সমস্যার ভিত্তিতে আগামী ২০২৪-২৫ সনে গবেষণা প্রণয়নের উদ্দেশ্যে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।

আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্র, বারি কুমিল্লার প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ড. আলমগীর সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন বারি’র মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার। 

বিশেষ অতিথি  ছিলেন, বারির কন্দাল ফসল গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক ড. মো. মতিয়ার রহমান ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লা অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক মো. আক্তারুজ্জামান। 

প্রধান অতিথি বলেন, অঞ্চলভিত্তিক বারি উদ্ভাবিত জাত ও প্রযুক্তির বর্তমান অবস্থা, স্মার্ট কৃষি বাস্তবায়নে ভবিষ্যৎ চাহিদা এবং সমস্যা চিহ্নিত করে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।

এতে মতামত জানান ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট,বিনা, বার্ড, এসআরডিআই, ব্র্যাক, পেইজ প্রতিনিধিসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা। বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা শামীমা সুলতানার সঞ্চালনায় কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সরেজমিন গবেষণা বিভাগ বারি কুমিল্লার প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. জামাল উদ্দিন। 

বিডি প্রতিদিন/আরাফাত



এই পাতার আরো খবর