ঢাকা, রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

জোরপূর্বক এক হাটের গরু অন্য হাটে নিলেই আইনগত ব্যবস্থা: ডিএমপি কমিশনার
অনলাইন ডেস্ক
হাবিবুর রহমান (সংগৃহীত ছবি)

ঢাকা মহানগরীতে এক হাটের গরু অন্য হাটে নেওয়া যাবে না। জোরপূর্বক এক হাটের গরু অন্য হাটে নিলে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সের সম্মেলন কক্ষে ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঢাকা মহানগর এলাকার পশুর হাটকেন্দ্রিক সার্বিক নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সমন্বয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে ইজারাদারদের উদ্দেশ্যে এ হুঁশিয়ারি দেন পুলিশ কমিশনার। 

হাবিবুর রহমান বলেন, ‘গরু কোন হাটে যাবে সেটা ব্যবসায়ীরা আগে থেকেই ট্রাকের সামনে ব্যানারে লিখে রাখবেন। প্রয়োজনে ব্যানারে হাটের ইজারাদারের মোবাইল নম্বর লিখে রাখবেন। এক হাটের গরু অন্য হাটে নিলে হাইওয়ে এলাকায় হাইওয়ে পুলিশ ও ঢাকা মহানগর এলাকায় ডিএমপি কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’

সভায় ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, যেখানে গরুর হাট নয় সেখানে যেন হাট না বসে সেটা ব্যবসায়ী এবং সংশ্লিষ্ট পুলিশরা দেখবেন। নদীপথে নৌকা বা ট্রলারে গরু আসলে সেগুলো নৌ-পুলিশ দেখভাল করবে। এক্ষেত্রে ডিএমপি নৌ-পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবে।

‘গরুর হাটে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, সিটি কর্পোরেশনের ম্যাজিস্ট্রেট, স্থানীয় পুলিশ ও হাটের ইজারাদাররা সমন্বয় করে কাজ করবেন। হাট পরিচালনা কমিটি হাটে স্থানীয় পুলিশের নম্বর প্রদর্শন করে ব্যানার টানাবেন। প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট সকলকে নিয়ে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খুলবেন এবং সেখানে একজন ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা থাকবেন।’

ডিএমপি কমিশনার বলেন, রাস্তায় যাতে যান চলাচলে অসুবিধা না হয়, এজন্য ইজারাদারগণ ব্যারিকেড দিয়ে হাটের সীমানা নির্ধারণ করে দেবেন। জালনোট সনাক্তে পুলিশ সহায়তা করবে। অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টি প্রতিরোধে পর্যাপ্ত পুলিশ থাকবে। হাট সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা এক্ষেত্রে তথ্য দিয়ে পুলিশকে সহায়তা করবেন। ইজারাদারগণ মাইকিং করে সবাইকে সচেতন করবেন।

সভায় আসন্ন কোরবানির পশুর হাট সমূহের নিরাপত্তা, মানি এস্কর্ট ও জালনোট সনাক্তকরণ, সার্বিক আইন শৃঙ্খলা রক্ষা এবং ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। 

বিডি প্রতিদিন/আরাফাত



এই পাতার আরো খবর