ঢাকা, বুধবার, ১৭ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

তর্কাতর্কির পর উত্তেজিত হয়ে কনস্টেবল মনিরুলকে গুলি করেন কাউসার
অনলাইন ডেস্ক
ড. খ. মহিদ উদ্দিন। সংগৃহীত ছবি

রাজধানীর বারিধারায় ডিপ্লোম্যাটিক জোনে ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে ডিউটিরত কনস্টেবল মনিরুল হকের সঙ্গে কনস্টেবল কাওছার আলীর তর্কাতর্কি হয়। তর্কাতর্কির পর উত্তেজিত হয়ে কনস্টেবল কাওছার সহকর্মী মনিরুলকে উদ্দেশ্য করে ৮-৯ রাউন্ড গুলি ছোড়েন।

তবে কী নিয়ে তর্ক ও কী কারণে কনস্টেবল কাওছার উত্তেজিত ছিলেন সে বিষয়ে এখনো জানা যায়নি।

আজ রবিবার দুপুরে ডিএমপি সদর দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা জানান ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপ্স) ড. খ. মহিদ উদ্দিন।

তিনি বলেন, দুই পুলিশ সদস্যের মধ্যে বিরোধ ছিল- এমন তথ্য আমাদের কাছে নেই। কাওছারের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি, কিন্তু বিরোধের কোনো তথ্য তার কাছ থেকে পাওয়া যায়নি। পাশাপাশি অভিযুক্ত কাওছারের গত এক-দুই মাসের ডিউটির রেকর্ড দেখেছি। রেকর্ডে কাওছার যথাযথভাবেই ডিউটি করেছে। গুলি করার আগে তদের মধ্যে কী বিষয় নিয়ে তর্ক হয়েছিল এখনো কনফার্ম হতে পারিনি আমরা। তদন্তে করে জানা যাবে।

ড. খ. মহিদ উদ্দিন আরও বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয়েছে, অভিযুক্ত কনস্টেবল কাওছার আলী মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। গুলি করেই তিনি হতভম্ব। এই কারণে বারবার বলছিলেন, ‘এটা কীভাবে হয়ে গেল। আমি জানি না। অর্থাৎ নিজের সহকর্মীকে এ ধরনের ঘটনা ঘটার পর মাসনিকভাবে নার্ভাস থাকে। যে কারণে ঘটনা ঘটানোর পরও অস্ত্র রেখে কনস্টেবল কাওছার সেখানে হাঁটাহাঁটি করছিলেন। কারণ তিনি স্ট্রেসটা নিতে পারছিলেন না। ঘটনার পর তিনি বুঝতে পেরেছেন হয়তো কত বড় অন্যায় ও অমানবিক কাজ করেছেন। হয়তো দু-একদিন গেলে বোঝা যাবে গুলি করার কারণ।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ডিউটির কারণে কোনো সমস্যা তৈরি হয়নি। এখন কোথাও ডিউটির অতিরিক্ত চাপ নেই। স্বাভাবিকভাবেই ডিউটি করছেন সবাই।’

আরেক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘প্রাতিষ্ঠানিকভাবে আমাদের কাউন্সেলিংয়ের সিস্টেম নেই। তবে আমরা নিয়মিত ব্রিফিংয়ে কী করা যাবে, কী করা যাবে না; সে সম্পর্কে বলা হয়। এটাও এক ধরনের কাউন্সেলিং।’

গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে বারিধারায় ফিলিস্তিন দূতাবাসের নিরাপত্তার দায়িত্বে অন্যান্য পুলিশ সদস্যের মতোই দায়িত্ব পালন করছিলেন কনস্টেবল মনিরুল ও কাউসার। রাত পৌনে ১২টার দিকে হঠাৎ সহকর্মী মনিরুলকে নিজের বন্দুক দিয়ে গুলি করেন কনস্টেবল কাউসার। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান মনিরুল।

এ সময় হামলাকারীর এলোপাতাড়ি গুলিতে পাশে থাকা জাপান দূতাবাসের গাড়িচালক সাজ্জাদ হোসেন আহত হন। তাকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। হামলাকারী কনস্টেবল কাউসারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

নিহত মনিরুল ইসলামের বাড়ি নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলায়। তার তিন বছরের একটি সন্তান রয়েছে। আর হামলাকারী কনস্টেবল কাউসারের বাড়ি কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায়।

বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ



এই পাতার আরো খবর