ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

আনুষ্ঠানিকতার আগেই হাঁড়িভাঙ্গা বাজারে, দাম চড়া
নিজস্ব প্রতিবেক, রংপুর

রংপুরের হাঁড়িভাঙ্গা আম আনুষ্ঠানিকভাবে বাজারে আসার কথা ছিল ২০ জুন থেকে। কিন্তু প্রখর খরতাপের কারণে হাঁড়িভাঙ্গা নির্ধারিত সময়ের আগেই বাজারে আসতে শুরু করেছে। তবে গত বছরের চেয়ে এবার দাম অনেক চড়া। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত প্লাস্টিকের ঝুড়িতে ফেরি করে আম বিক্রি করা হচ্ছে।

মাঠ পর্যায়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে প্রথম থেকেই প্রচন্ড গরম ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে এবার আমের সাইজ অন্যান্য বছরের তুলনায় ছোট হয়েছে। দীর্ঘদিন থেকে খরা অবস্থা বিরাজ করায় আমের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। আমচাষিরা বলেন, প্রচণ্ড গরমে এবার নির্ধারিত সময়ের আগেই আম পাকতে শুরু করেছে। অনেক বাগানের আমের সাইজ খুব ছোট হয়েছে।

এদিকে, রংপুর নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সাইকেল অথবা ভ্যানে করে হাঁড়িভাঙ্গা আম বিক্রি করছেন চাষি ও ব্যবসায়ীরা। প্রতি কেজি আম প্রকারভেদে ৭০ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি করছেন। গত বছর এসময় হাঁড়িভাঙ্গা বিক্রি হয়েছে প্রতিকেজি ৪০ টাকা থেকে ৫০ টাকায়।

মিঠাপুকুরের আম চাষি হাবিবুর রহমানসহ বেশ কয়েকজন অভিযোগ করে বলেন, বিরূপ আবহাওয়ার কারণে এবার নির্ধারিত সময়ের আগে আম পাকতে শুরু করেছে। কৃষি বিভাগ আম নামানোর তারিখ নির্ধারণ করেছে ২০ জুন থেকে।

চাষিদের অভিযোগ, কৃষি বিভাগের উচিত ছিল এই বিরূপ আবহাওয়ায় ২০ জুনের আগে আম পাড়ার নির্দেশনা দিতে। কিন্তু পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে কৃষি বিভাগের বেধে দেওয়া সময়ের আগে চাষিরা আম পারতে বাধ্য হচ্ছেন।

জানা গেছে, মৌসুমের শুরুতে মিঠাপুকুরের পদাগঞ্জ, নগরীর বাসটার্মিনাল সংলগ্ন অস্থায়ী আমের বাজার, লালবাগ বাজারসহ অন্যান্য আমের বাজারগুলোতে ক্রেতা-বিক্রেতার পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে। বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীরা ব্যস্ত সময় পার করেন। এবার সব কিছুই আগাম হতে শুরু করেছে।

সূত্র মতে, প্রতি বছর শুধু হাঁড়িভাঙ্গা আম বিক্রি করে রংপুরের চাষিরা ২০০ কোটি টাকার ওপর ঘরে তোলে।

কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, রংপুরে এবার প্রায় দুই হাজার হেক্টর জমিতে হাঁড়িভাঙ্গার আবাদ হয়েছে। মৌসুমের শুরুতে ৪০ থেকে ৬০ টাকা এবং মৌসুমের শেষ দিকে প্রতি কেজি হাঁড়িভাঙ্গা আম ১৫০ টাকার বেশি কেজি বিক্রি হয়। কিন্তু এবারের চিত্র ভিন্ন। শুরুতেই দাম গত বছরের প্রায় দ্বিগুণ।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক রিয়াজ উদ্দিন বলেন, এই আম ২০ জুন থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বাজারে পাওয়ার কথা। তবে চাষিরা তাদের পছন্দমতো সময়ে ফসল ঘরে তুললে কৃষি বিভাগ বাধা দিতে পারে না।

বিডি প্রতিদিন/এমআই



এই পাতার আরো খবর