ঢাকা, শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

ঢাকায় পশুর বর্জ্য অপসারণে ১৯ হাজার পরিচ্ছন্নতা কর্মী মাঠে
অনলাইন ডেস্ক

পবিত্র ঈদুল আজহায় কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ করতে মাঠে রয়েছে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের সাড়ে ১৯ হাজার পরিচ্ছন্নতা কর্মী। দুই সিটির ২০টি হাটের বর্জ্যের পাশাপাশি কোরবানির দিনে জবাই করা পশুর হাজার হাজার টন বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় প্রস্তুত রয়েছে তারা।  

এ বছর কোরবানির ঈদে দুই সিটি করপোরেশন ৪০ হাজার মেট্রিক টনের বেশি বর্জ্য সরানোর প্রস্তুতি নিয়েছে। এ জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে পরিচ্ছন্নতাকর্মী আর হাজারের উপর যান-যন্ত্রপাতি। কেনা হয়েছে নতুন নতুন যন্ত্রও। দুই সিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পর্যবেক্ষণ করা হবে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস ঘোষণা দিয়েছেন ঈদে রাজধানীতে পশু কোরবানির ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বর্জ্য অপসারণ করা হবে৷ অন্যদিকে পশু কোরবানির ছয় ঘণ্টার মধ্যে বর্জ্য অপসারণের লক্ষ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) সার্বিক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

সোমবার সকালে ঈদের নামাজ শেষে পশু কোরবানি শুরু করেছেন সামর্থ্যবান মুসলমানরা। ধর্মীয় বিধান অনুযায়ী তিনদিন কোরবানি করা যাবে।

ঈদের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কেমন হবে তা নিয়ে ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, এ বছর ৬ ঘণ্টায় কোরবানির বর্জ্য অপসারণের লক্ষ্যে ডিএনসিসি সার্বিক প্রস্তুতি নিয়েছে। ১০ হাজারের অধিক পরিচ্ছন্নতা কর্মী নিয়োজিত থাকবে। ডিএনসিসির সকল কাউন্সিলর, কর্মকর্তা এবং আমি নিজে মাঠে থাকব। কেন্দ্রীয়ভাবে মনিটরিং করার জন্য কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়াও ওয়ার্ডভিত্তিক তদারকি টিম গঠন করা হয়েছে। হট লাইন নম্বর রয়েছে যে কেউ যোগাযোগ করতে পারবে।

ডিএনসিসি বলছে, ঈদের দিন দুপুর ২টায় আনুষ্ঠানিকভাবে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম শুরু হবে। রাত ৮টার মধ্যে সকল বর্জ্য অপসারণ করা হবে। পশুর হাটের বর্জ্য পরিষ্কারের জন্য এবার আর ইজারাদারদের ওপর ভরসা করা হবে না। সিটি করপোরেশন থেকেই করা হবে।

পশুর রক্ত, বর্জ্য ও আবর্জনা অপসারণে ঈদের দিন ১০ হাজারের বেশি পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিয়োজিত থাকবে উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায়। ডিএনসিসির মেয়র, কাউন্সিলর ও কর্মকর্তারা বিষয়টি তদারকি করবেন।

ঈদের দিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় কোরবানির পশুর মালিকদের পলিথিন সরবরাহ করবেন উত্তর সিটির কাউন্সিলররা। পরে বর্জ্যপূর্ণ ওই পলিথিন সংগ্রহ করা হবে।

দক্ষিণ সিটির ৭৫টি ওয়ার্ডে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে ৯ হাজার ৪৯৭ জন কর্মী কাজ করবেন। সব মিলিয়ে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রমে ৫৬০টি যান-যন্ত্রপাতি নিয়োজিত থাকবে। 

মেয়র তাপস বলেন, গত বছরের ন্যায় এবারও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে আমাদের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। সুতরাং ঈদের দিন যে বর্জ্য সৃষ্টি হবে, সেটা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারিত হবে। পরের দিন যে বর্জ্য সৃষ্টি হবে সেটাও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারিত হবে।

বিডি প্রতিদিন/এএ



এই পাতার আরো খবর