ঢাকা, বুধবার, ১৭ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

হুন্ডি আর অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসায় দিনে লাখ টাকা আয় রাজুর
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর বাড্ডা থেকে বিপুল পরিমাণ অবৈধ মোবাইল সিম ও ভিওআইপি সরঞ্জামাদিসহ মোঃ রাজু (৩৬) নামের একজন ভিওআইপি ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব।

র‍্যাব-১ এবং ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) যৌথ অভিযানে গতকাল বুধবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। 

গ্রেপ্তার রাজু লক্ষ্মীপুর রামগঞ্জের ইউনুস আলী ভূইয়ার ছেলে। তিনি রাজধানীর মধ্য বাড্ডার হাজী সলিমুদ্দিন লেনের একটি বাসায় বসবাস করে ভিওআইপি ব্যবসা পরিচালনা করছিলেন।

র‍্যাব বলছে, এসময় তাদের কাছ থেকে ভিওআইপি ব্যবসায় ব্যবহৃত ৩০টি ভিওআইপি সিম বক্স,  ৫ হাজার ৫০টি সিম, ২ টি পাওয়ার ক্যাবল, ১টি রাউটার, ১ টি মাউস, ৬ টি পেনড্রাইভ, ৬টি মোবাইল ফোন, ৫টি ল্যাপটপ, ১টি অনু, ৫টি ইন্টার সুইচ বক্স, ১টি কী বোর্ড এবং ১টি ফেক্সিলোড সিম বক্স ও বিপুল পরিমাণ অবৈধ ভিওআইপি সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়।

রাজু প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানান, তিনি প্রচলিত সফটওয়্যার ভিত্তিক সিস্টেম ব্যবহারের মাধ্যমে টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন করে অবৈধভাবে আন্তর্জাতিক কল রাউট করতেন এবং অবৈধ ভিওআইপি সরঞ্জামাদির মাধ্যমে টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে যান্ত্রিক, ভার্চুয়াল এবং সফটওয়্যার ভিত্তিক কৌশল অবলম্বন করে অবৈধভাবে দেশের অভ্যন্তরে সার্ভার স্থাপন করে মধ্যপ্রাচ্যসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশেও কলিং কার্ড, পেমেন্ট ও রিচার্জ সেবা দিতেন। তিনি ও তার চক্রের ব্যবহৃত সিস্টেমে বিদেশ থেকে প্রতিদিন প্রায় লক্ষাধিক মিনিট কল বাংলাদেশে আসতো। যার মাধ্যমে রাজু প্রতিদিন প্রায় লক্ষাধিক টাকা উপার্জন করতেন। 

র‍্যাব-১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মোশতাক আহমেদ জানান, এদের ব্যবহৃত সিস্টেমে বিদেশ হতে প্রতিদিন প্রায় লক্ষাধিক মিনিট কল বাংলাদেশে আসতো। যার মাধ্যমে গ্রেফতারকৃত আসামি প্রতিদিন প্রায় লক্ষাধিক টাকা উপার্জন করতো। ভিওআইপি ব্যবসার অর্থ হুন্ডির মাধ্যমে দেশে এনে নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নিতো বলে প্রাথমিকভাবে জানায়। এছাড়াও দেশের অভ্যন্তরে বিভিন্ন পেমেন্টে (ইন্টারনেট ও সিম) ব্যাংকিং ও মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে প্রদান করতো বলে জানা যায়।

র‍্যাব জানায়,  রাজু ২০১০ সালে দুবাই থেকে বাংলাদেশে চলে আসে। পরবর্তীতে সে দেশে এসে কম সময়ে অধিক মুনাফা লাভের আশায় মোঃ সবুজ নামে  এক জনের সহায়তায় ভিওআইপি ব্যবসা শুরু করে। পরবর্তীতে  বাড্ডার  গোলাম মোস্তফা (৭০) এর মালিকানাধীন ভাড়া বাসায় উক্ত ভিওআইপি ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিল। গ্রেফতারকৃত এবং পলাতক আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

 

বিডি প্রতিদিন/নাজমুল



এই পাতার আরো খবর