ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

কুমিল্লা পাওনা টাকা চাওয়ায় গলা কেটে হত্যা, ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
কুমিল্লা প্রতিনিধি

কুমিল্লার মুরাদনগরে পাওনা টাকা চাওয়ায় এক ব্যবসায়ীকে গলা কেটে হত্যার দায়ে চারজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। 

হত্যাকাণ্ডের শিকার ফারুক আহমেদ মুরাদনগর উপজেলার উত্তর ত্রিশ এলাকার মো. মোস্তফার ছেলে। 

বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) এই রায় দেন কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পঞ্চম আদালতের বিচারক মোছা. ফরিদা ইয়াসমিন। রায়ের সময় আসামিরা অনুপস্থিত ছিলেন। 

এসব তথ্য জানিয়েছেন মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রফিকুল ইসলাম। 

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন মুরাদনগর উপজেলার উত্তর ত্রিশ এলাকার মিজানুর রহমানের ছেলে মো. রফিক মিয়া, দেবিদ্বার উপজেলার মাধবপুর এলাকার ইউনুস মিয়ার ছেলে মো. নাজমুল শিকদার, একই উপজেলার ভিংলাবাড়ি এলাকার চান মিয়ার ছেলে মো. মান্নান মিয়া ও রাজু মিয়ার ছেলে মো. সুমন মিয়া। 

আইনজীবী রফিকুল ইসলাম জানান, ২০১৩ সালের ২ ডিসেম্বর নিখোঁজ হন মুরাদনগর উপজেলার উত্তর ত্রিশ এলাকার ফারুক আহমেদ। ৭ ডিসেম্বর স্থানীয় একটি বালুর মাঠ থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পরিবার। ফারুক আহমেদের কোম্পানীগঞ্জ বাজার একটি কাপড়ের দোকান ছিল। তার চাচাতো ভাই রফিকুল ইসলাম তার কাছ প্রায় তিন লাখ টাকা ধার নেন। কিন্তু নির্দিষ্ট সময় পার হওয়ার পরও রফিক সেই টাকা ফেরত দিচ্ছিলেন না। ফারুক প্রায়ই তার কাছে পাওনা টাকা চাইতেন। একবার রফিকের ভগ্নিপতি মান্নান মিয়ার সামনে টাকা চাইলে ক্ষিপ্ত হন রফিক। মান্নান ও রফিক আরেক ভগ্নিপতি সুমনের সাথে পরিকল্পনা করে। তারা তিনজন পাশের দেবিদ্বার উপজেলার পরিচিত নাজমুল সিকদারকে ভাড়া করেন। ফারুককে টাকা ফেরত দেবে বলে ডেকে আনে। স্থানীয় একটি মাঠে তাকে গলা কেটে হত্যা করে লাশ বালুচাপা দেয়। ঘটনার ৫ দিন পর অর্ধগলিত লাশ পেয়ে পরিবার শনাক্ত করে। তদন্ত কর্মকর্তা রফিকের ভগ্নিপতি মান্নানকে প্রথমে গ্রেফতার করেন। ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়ে ঘটনার দায় স্বীকার করেন মান্নান। পরবর্তীতে অন্য আসামিরা গ্রেফতার হন। 

নিহতের বাবা মো. মোস্তফা বলেন, আমার তিন ছেলে। এই ছেলেটা বেশি আদরের ছিল। প্রথমে নিখোঁজ জিডি করি। মামলাও অজ্ঞাতনামা আসামি দিয়ে করি। তদন্ত কর্মকর্তা না বের করলে আমি বিশ্বাস করতে পারতাম না পাওনা টাকার চাওয়ায় আমার ছেলেকে হত্যা করেছে। ১১ বছর পর ছেলে হত্যার বিচার পেয়েছি। একটাই দাবি রায় দ্রুত কার্যকর করা হোক। 

বিডি-প্রতিদিন/বাজিত



এই পাতার আরো খবর