ঢাকা, সোমবার, ৫ আগস্ট, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

আমরা চুপ থাকতে পারি না: মিজানুর রহমান মিনু
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও সাবেক এমপি মিজানুর রহমান মিনু বলেছেন, ‘আমাদের সন্তানদের পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর মতোগুলো করে হত্যা করবে, আমরা চুপ থাকতে পারি না। আমরা নিজের জান দেবো। আমাদের উপর গুলি করুক। আমাদের জীবনের শেষ সময়। কিন্তু তাদেরকে (শিক্ষার্থী) আমরা হত্যা করতে দেবো না। প্রয়োজনে তাদের সামনে দাঁড়িয়ে বুক পেতে দেব।’ 

রবিবার বেলা ১১টার দিকে রাজশাহী নগরীর পদ্মা আবাসিক এলাকায় নিজ বাসায় সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আপনাদের সন্তান হিসেবে আপনাদের সুখে-দুখে পাশে ছিলাম। রাজশাহীবাসীকে আমরা অনুরোধ করবো, ছাত্র সমাজের অসহযোগ আন্দোলন, এটা আজকে জাতির মুক্তির আন্দোলন। এই অসহযোগ আন্দোলনে তারা যা যা অনুরোধ করেছে তার সবকিছু মেনে চলার অনুরোধ জানাচ্ছি। অভিভাবকরা মা হিসেবে, কেউ বাবা হিসেবে পাশে দাঁড়িয়েছেন। আমি বিএনপির উপদেষ্টা হিসেবে আমার নৈতিক সমর্থন আছে। আমাদের মহাসচিব সাহেব বলে দিয়েছেন সব নেতা-কর্মীদের এই আন্দোলনকারীদের পাশে থেকে সহযোগিতা করার। সবাই আমরা সবকিছুতে পাশে থাকবো।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘হামলা কেনো করবে। শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করবে। অনেক সময় পরিস্থিতির কারণে অনেকে কিছু হয়তো ভুল করে বসে। আমি তাদের মুরব্বি হিসেবে বলব- জ্বালাও পোড়াও এর পথে কেউ যেনো না যায়। অনেক সময় হয় কী, আন্দোলনের সময় আশে-পাশে অনেক লোকজন ঢুকে যায়। আমি তো অনেক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছি। এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে আমরা মূল নেতৃত্ব ছিলাম।’

মিনু বলেন, ‘আমার সন্তান বিদেশে লেখাপড়া করে। তার বন্ধুরা শহিদ হয়ে গেছে। তার রুমমেট ছিল আদনান। কেউ অপরাধ করলে তার শাস্তি পাবে। তবে আমি আমার ছেলেদের সেই শিক্ষা দেয়নি। আমার ওয়াইফ (স্ত্রী) সে মা হিসেবে গিয়েছিল আন্দোলনে।’

তিনি বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের রাজশাহী নগরীতে ১৬টি মামলায় প্রায় তিন শতাধিক নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে। দিনরাত বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়িতে সাদা পোশাকে পুলিশ হানা দিচ্ছে। নেতাকর্মীদের না পেয়ে পরিবারের সদস্য এমনকি পিতা-মাতা ও ভাই-বোনদের তুলে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। 

এসময় উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী আবুল কাশেম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের সাবেক চিকিৎসক ডা. ওয়াসিম হোসেন প্রমুখ।

বিডি প্রতিদিন/আরাফাত



এই পাতার আরো খবর