রাজধানীর সচিবালয়ে অবরুদ্ধ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলমকে উদ্ধার করতে গিয়ে আন্দোলনরত আনসার সদস্যদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ৩৫ জন আহত হয়েছেন।
রবিবার রাত ৯টা ২০ মিনিটে সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষের শুরুতে উভয়পক্ষ ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া করে এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।
তবে বর্তমানে সেখানে সেনাবাহিনীর সদস্যরা অবস্থান করছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন তারা।
সরেজমিন দেখা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলমকে আনসার সদস্যরা আটক রাখার খবরে সচিবালয়ের উদ্দেশে রওনা হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
একপর্যায়ে আনসার সদস্যরা শিক্ষার্থীদের ধাওয়া করে। এ সময় কয়েকজনকে লাঠিপেটা করে আনসার সদস্যরা। পরে শিক্ষার্থীরা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করলে আনসার সদস্যরাও পিছু হটে।
এর আগে, রবিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কয়েকজন হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলমকে আটকে রাখার বিষয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিলে শিক্ষার্থীরা তাদের উদ্ধারে রওনা হন।
শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন হল থেকে লাঠিসোঁটা নিয়ে রাজু ভাস্কর্যে জড়ো হন। ছোট-বড় দল হয়ে বিভিন্ন স্লোগানও দেন তারা। এসময় শিক্ষার্থীদের ‘হাসিনার দালালেরা-হুঁশিয়ার সাবধান’, ‘স্বৈরাচারের দালালেরা-হুঁশিয়ার সাবধান’ স্লোগান দেন। এরপর হাজারো শিক্ষার্থীরা সচিবালয়ের দিকে রওনা হন।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত