ঢাকা, রবিবার, ১০ নভেম্বর, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

সামান্য বৃষ্টিতেই বরিশাল নগরীতে জমে হাটু পানি
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

সামান্য বৃষ্টি হলেই বরিশাল নগরীর বিভিন্ন সড়কে জমে যায় হাটু পানি। আর এতে ভোগান্তিতে পড়ে স্থানীয় বাসিন্দাসহ বিভিন্ন যানবাহন চালকরা। 

সোমবার দুপুর একটা থেকে বরিশাল নগরীতে ১০ মিনিটের প্রবল ভারি বৃষ্টি হয়। এতে নগরীর প্রধান সড়ক সদর রোড, ফজলুল হক এভিনিউ, বাংলাদেশ ব্যাংক গলি, বগুড়া রোড, মহিলা কলেজের পিছনের গেট, আগরপুর রোড, কালিবাড়ি, বগুড়া রোড, নবগ্রাম রোড, করিম কুটির, আমির কুটিরসহ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক পানিবন্দী হয়ে পড়ে। 

নগরীর করিম কুটির এলাকার বাসিন্দা প্রদীপ বলেন, একটু বৃষ্টি হলেই কুরিম কুটির এলাকার প্রত্যেকটি সড়ক পানিতে ডুবে যায়। এর প্রধান কারণ হলো নবগ্রাম খাল ড্রেনে পরিণত করা। এছাড়াও অপরিকল্পিতভাবে বাসা-বাড়ি তৈরি করা। তাই সামান্য বৃষ্টি হলে রাস্তা ডুবে যায়। নোংরা আবর্জনা পরিপূর্ণ পানি দিয়ে চলাচল করতে হয়। 

নগরীর সদর রোডের বায়তুল মোকারম মসজিদে যোহরের নামাজ পড়ে বের হয়ে পানিবন্দি হয়ে পড়েন প্রবীন বাসিন্দা মো. ফিরোজ হাওলাদার। তিনি বলেন, একটু ভারি বৃষ্টি হলেই জুতা হাতে নিয়ে চলাচল করতে হয়। 

তার সাথে নামাজ পড়ে বের হওয়া মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব জিয়া সিকদার বলেন, গত ১৫ বছর শুধু উন্নয়নের কথা শুনছি। উন্নয়নের নমুনা হলো বৃষ্টি হলেই হাটু পানিতে ডুবন্ত রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হয়।

বরিশাল আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক প্রনব কুমার রায় বলেন, বরিশাল নগরীতে সকাল ৭ টা থেকে পৌনে ৯ টা পর্যন্ত ও দুপুরে বৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে সকালে ১৬ মিলিমিটার ও দুপুরে ৭ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এর মধ্যে দুপুরে একটু ভারি বৃষ্টি হয়েছে। ভাদ্র মাসে যে কোন সময় এ রকম ভারি বৃষ্টিপাত হবে। 

নগরবাসীর অভিযোগ নিয়মিত ড্রেন পরিস্কার না করা ও খাল নষ্ট করার ফলে সামান্য বৃষ্টিতে সড়ক এবং নিম্নাঞ্চল পানিতে ডুবে যায়। 

বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা মো. ইউসুফ আলী বলেন, গত এক সপ্তাহ ধরে শতাধিক পরিচ্ছন্নতা কর্মী শুধু ড্রেন পরিস্কার করছে। নগরীর প্রধান প্রধান সড়কের পাশের সকল ড্রেনের ময়লা আর্বজনা পরিস্কার করা হয়েছে। সমস্যা হচ্ছে আমাদের সকল ড্রেনের পানি খাল ও নদীর সাথে সংযোগ করা। তাই নদীর পানি বেশি থাকলে নগরীতে জলাদ্ধতা তৈরি হয়।

বিডি প্রতিদিন/হিমেল



এই পাতার আরো খবর