ঢাকা, রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

কমিউনিটি ব্যাংকের কর্মীদের চাকরি স্থায়ীকরণের দাবি
অনলাইন ডেস্ক

কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির সব অস্থায়ী কর্মচারীদের চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে ব্যাংকটির অস্থায়ী কর্মচারীরা।রবিবার সকাল ১১টার দিকে ঢাকার গুলশান-১ এর পুলিশ প্লাজা কনকর্ডে অবস্থিত ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়।

কর্মসূচিতে অস্থায়ী কর্মচারীরা বলেন, ব্যাংকের কাস্টমার সার্ভিস এক্সিকিউটিভ ও কন্টাক্ট সেন্টার এক্সিকিউটিভ পদে কর্মরত চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীরা বর্তমানে সমগ্র বাংলাদেশে বিভিন্ন জেলায়, শাখায় ও হেড অফিসে দীর্ঘ চার বছরের বেশি সময় ধরে চুক্তিভিত্তিক হিসেবে নিয়োজিত আছেন। ব্যাংক থেকে প্রতিশ্রুতি থাকলেও বিগত কয়েক বছর ধরে তাদের চাকরি স্থায়ীকরণের ক্ষেত্রে নানা ধরনের নাটকীয় কর্মকাণ্ডের ও বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। বর্তমানে তাদের বেশির ভাগ বয়স ৩০-৩২ বছরের ঊর্ধ্বে হওয়ায় তারা অন্যত্র চাকরির কোনো সুযোগ পাচ্ছেন না। এছাড়া আইনের কাঠামো অনুযায়ী প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং গ্র্যাচুইটি সুবিধা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন। তাই তাদের এক দফা যেকোনো মূল্যে তাদের চাকরি স্থায়ীকরণ করতে হবে। তা-না হলে তারা লাগাতার এ কর্মসূচি চালিয়ে যাবার হুঁশিয়ারি দেন।

বক্তারা আরও বলেন, ব্যাংকটি গঠনের সময় থেকে অদ্যাবধি বিভিন্ন ডিভিশন ও জেলায় কর্মরত রয়েছেন এবং তারা ব্যাংকের স্বার্থে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। এমনকি করোনার সময়ে তাদের সেবা বন্ধ ছিল না। এছাড়া ব্যাংকটি আজকের এই সফল পর্যায়ে আসার পেছনে তাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশের সব জেলাতে ব্যাংকের শাখা নেই এবং একটি শাখায় কমপক্ষে সাত-আটজন কর্মকর্তা-কর্মচারী কাজ করে থাকেন, সেখানে প্রত্যেকটি জেলায় উল্লেখিত সাত-আটজন কর্মকর্তা-কর্মচারীর পরিবর্তে মাত্র একজন সিএসই কোনো ধরনের অফিস ডিভাইস ব্যতীত শুধুমাত্র নিজের মোবাইলফোন দিয়ে অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে সব পুলিশ সদস্যদের সুষ্ঠুভাবে ও শৃঙ্খলার সঙ্গে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন এবং প্রতি মাসে ব্যাংকের বিজনেসের (এফডিআর, ডিপিএস, লোন, ক্রেডিট কার্ড নতুন অ্যাকাউন্ট ওপেনসহ) জন্যও অগ্রগামী ভূমিকা পালন করে চলছেন। তবুও তাদের সবসময় অবমূল্যায়ন করা হচ্ছে। ম্যানেজমেন্ট তাদের স্থায়ী না করে অন্য ব্যাংক থেকে লোক এনে স্থায়ী পদে বসাচ্ছে।

তাদের সঙ্গে ব্যাংকটি বৈষম্যমূলক আচরণ করছে অভিযোগ করে তারা আরও বলেন, তাদের মতো মাস্টার্স কমপ্লিট করা ছেলে-মেয়েদের চার বছরের বেশি সময় ধরে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ রাখাকে তাদের সঙ্গে ব্যাপক বৈষম্যপূর্ণ আচরণ করা হচ্ছে। 

এ সময় ব্যাংকটির কয়েকশ অস্থায়ী চুক্তিভিত্তিক সিএসই (কাস্টমার সার্ভিস এক্সিকিউটিভ) ও সিসিই’রা (কল সেন্টার এক্সিকিউটিভ) উপস্থিত ছিলেন।

বিডি প্রতিদিন/এএ



এই পাতার আরো খবর