কুমিল্লায় মহিউদ্দিন নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার পর হাত কেটে নিয়ে ঘোরাঘুরি করা যুবককে পাঁচ দিনেও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এ ঘটনায় ১০ জনকে এজাহারনামীয় এবং অজ্ঞাত পাঁচ জনকে আসামি করে দাউদকান্দি মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গৌরীপুর ইউনিয়নের ওলানপাড়া গ্রামে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত মহিউদ্দিন (৩০) পেশায় রং মিস্ত্রি। তিনি ওলানপাড়া গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে।
কুমিল্লা দাউদকান্দি মডেল থানা সূত্রে জানা যায়, হত্যাকাণ্ডের পর মহিউদ্দিনের হাত কেটে নেওয়া হয়। ওই কাটা হাত ও চাপাতি নিয়ে হাঁটার দৃশ্যের একটি সিসিটিভি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। হত্যাকাণ্ডের দিন ৭ সেপ্টেম্বর মহিউদ্দিনের মা মনোয়ারা বেগম ১০ জনকে এজাহারনামীয় ও পাঁচ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ এ ঘটনায় ইয়াছিন আহমেদ বাবু নামে একজনকে গ্রেফতার করেন। বাবু গৌরীপুর এলাকার বাসিন্দা।
দাউদকান্দি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহীদুল্লাহ প্রধান জানান, হত্যাকাণ্ডের শিকার ও হত্যায় অভিযুক্তরা মাদক ব্যবসায়ী। তারা এক সময় একই গ্রুপের সদস্য ছিল। গত শুক্রবার ওই এলাকার আকলিমা আক্তারের ছেলের সাথে মহিউদ্দিনের ভাতিজার বিতণ্ডা হয়। এ ঘটনায় প্রতিবাদ করে মহিউদ্দিন। তারই জেরে শনিবার সে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয় বলে আমরা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি।
তিনি জানান, হত্যার পর কেটে নেওয়া হাত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের জিংলাতলী থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের সাথে সরাসরি চার-পাঁচজন জড়িত ছিল। ইতোমধ্যে একজনকে গ্রেফার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে। হত্যার পর হাত কেটে ও চাপাতি নিয়ে ঘুরতে থাকা যুবককে চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে তার নাম বলা যাচ্ছে না।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত