ঢাকা, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

ত্বকী হত্যা মামলা: আজমেরী ওসমানের সেই আস্তানায় অভিযান
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
ছবি- বাংলাদেশ প্রতিদিন।

নারায়ণগঞ্জে আলোচিত মেধাবী ছাত্র তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যার ঘটনায় সাবেক এমপি শামীম ওসমানের ভাতিজা ও প্রয়াত এমপি নাসিম ওসমানের ছেলে আজমেরী ওসমানের সেই আস্তানায় অভিযান চালিয়েছে র‌্যাব। যে আস্তানা থেকে হত্যাকাণ্ডের পর রক্তমাখা জিন্স, একটি পিস্তলের বাট এবং ইয়াবা সেবনের সরঞ্জাম জব্দ করেছিলো র‌্যাব।

বুধবার (১৮ সেপ্টম্বর) দুপুরে র‌্যাব-১১ এর একটি টিম শহরের কলেজ রোড এলাকার আজমেরি ওসমানের বাসার পাশেই একটি ভবনে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। একই সাথে শীতলক্ষ্যা নদী পাড়ের যেখান থেকে ত্বকীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছিলো সেই স্থানটিও পরিদর্শন করেছে র‌্যাব কর্মকর্তারা। এসময় র‌্যাব কর্মকর্তাদের সাথে ত্বকী হত্যা মামলায় গ্রেফতারকৃত শিপনও উপস্থিত ছিলো। বর্তমানে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানায় র‌্যাব।

অভিযান ও পরিদর্শন শেষে র‌্যাব-১১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল তানভীর মাহমুদ পাশা বলেন, ২০১৩ সালে ত্বকীকে হত্যা করা হয়। আমরা দীর্ঘদিন ধরে এর তদন্ত করছি। মাঝখানে কিছুটা স্থবির থাকলেও পুনরায় তদন্তের গতি পেয়েছে। এর প্রধান কারণ হচ্ছে আমরা র‌্যাব হেডকোয়াটার্সের সহায়তা পাচ্ছি। আপনারা জানেন আমরা ৫ জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। এর মধ্যে একজন ১৬৪ দারায় জবানবন্দি দিয়েছেন এবং তার জবানবন্দি থেকে ও তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আমরা বেশকিছু তথ্য পেয়েছি।

তিনি আরও বলেন, আজ আমরা এসেছি ত্বকীকে যেখানে হত্যা করা হয়, যেখানে লাশ ফেলা হয় সেখানে। তদন্তের স্বার্থেই প্রতিটা জায়গা আমরা পরিদর্শন করছি। আশা করছি খুব শীঘ্রই এই ঘটনায় একটি সুষ্ঠ রিপোর্ট আমরা দিতে পারবো। আমাদের সাথে আটককৃত (শিপন) একজন আছে, তাকে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করছি। সে আমাদের বিভিন্ন জায়গা দেখিয়ে দিচ্ছে। আমরা যতটুকু সংবাদ পেয়েছি সে এই ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত।

প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ৬ মার্চ নারায়ণগঞ্জ শহরের বঙ্গবন্ধু সড়ক থেকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয় তানভীর মুহাম্মদ ত্বকীকে। এরপর ৮ মার্চ শীতলক্ষ্যা নদী সংলগ্ন কুমুদিনী খাল থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় রফিউর রাব্বী বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা দায়ের করেছিলেন।

সেই সাথে ২০১৩ সালের ৭ আগস্ট আজমেরীর 'উইনার ফ্যাশন' অফিসে অভিযান চালিয়ে রক্তমাখা জিন্স, একটি পিস্তলের বাট এবং ইয়াবা সেবনের সরঞ্জাম জব্দ করে র‌্যাব। ওই সময় র‌্যাব কর্মকর্তারা দেয়াল, সোফা ও আলমারীতে বেশকিছু গুলির চিহ্নও দেখতে পেয়েছিরেন। তবে এতদিন এই মামলাটির বিচার কার্যক্রম স্থবির ছিলো। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর পুনরায় মামলাটির বিচার কার্যক্রম সচল হয়েছে। ইতোমধধ্যে পাঁচজন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। 

বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ



এই পাতার আরো খবর