গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার টান কালিয়াকৈর এলাকা থেকে এক শিশুকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছে। অপহরণকারীরা বৃহস্পতিবার অপহৃতের বাবার কাছে ফোন করে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। দাবিকৃত টাকা না পেলে অপহৃতের লাশ পাঠিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন তারা।
অপহৃত ওই শিশু গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার টান কালিয়াকৈর এলাকার রুবেল হোসেনের ছেলে মো. শোয়াইব হোসেন (৫)।
অপহৃতের পরিবারের সদস্যরা জানান, রুবেল হোসেন উপজেলার টান কালিয়াকৈর এলাকায় বসবাস করে রাজধানী পরিবহনের বাস চালিয়ে সংসার চালান। সেই বাস চালকের ভাড়া বাসা থেকে গত বুধবার রাত আনুমানিক ৮টার পর থেকে তার পাঁচ বছরের শিশু সন্তান শোয়াইবকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। পরে তার পরিবার আশপাশে এবং তার স্বজনদের বাড়িতে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে বুধবার রাতে কালিয়াকৈর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
নিখোঁজের পর বৃহস্পতিবার সকালে একটি নম্বর থেকে তার বাবাকে ফোন করে জানানো হয়, তাদের সন্তান অপহরণকারীদের কাছেই আছে। পাঁচ লাখ টাকা দিলে শোয়াইবকে ছেড়ে দেওয়া হবে। এই বলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় অপহরণকারীরা। আবার অপহরণকারীরা বিকালে ফোন করে শিশুর বাবা রুবেলকে জানায়, ‘তোদের কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাইছিলাম কিন্তু দিলি না। ঠিক আছে তিন লাখ টেহা দে, নয়লে কাল তোর পুলার লাশ পাঠিয়া দিমু।’
বিষয়টি থানা পুলিশকে জানানো হলে পুলিশের একাধিক টিম অপহৃত শিশু শোয়াইবকে উদ্ধারে অভিযানে নেমেছেন বলে পুলিশ কর্মকর্তারা জানান। কিন্তু বৃহস্পতিবার রাত ১০টা পর্যন্ত শিশুটিকে পুলিশ উদ্ধার করতে পারেনি।
নিখোঁজ শিশুর দাদা মো. শাহজাহান বলেন, ‘নাতিরে নিয়া টেনশনে আছি। আমরা গরিব মানুষ এতো টেহা কই পামু। তবে নাতি নিখোঁজের রাতেই থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছিলাম। পুলিশকে সব ঘটনা খুলে বলেছি।’
কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিয়াদ মাহমুদ বলেন, শিশুটিকে উদ্ধারের জন্য পুলিশ কাজ করছে। ধারণা করা হচ্ছে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে শিশুর বাবার কাছের কোনো আত্মীয় এরকম কাজ করতে পারেন।
বিডি প্রতিদিন/এমআই