ঢাকা, রবিবার, ২৮ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

দখলের মহোৎসবে গাভীয়ারখাল
শাহ্ দিদার আলম নবেল, সিলেট

সিলেট নগরীর প্রধান ৯টি ছড়া-খালের মধ্যে অন্যতম গাভীয়ারখাল। প্রায় সাড়ে চার কিলোমিটার দীর্ঘ এই খাল দখলের মহোৎসবে হয়ে পড়েছে সংকুচিত। দখলদারদের কালো থাবায় সরু নালায় পরিণত হওয়া গাভীয়ারখাল সিলেট নগরীর একাংশের মানুষের জন্য পরিণত হয়েছে অভিশাপে। বর্ষা মৌসুমে অল্প বৃষ্টিতেই পানি উপচে ওঠে গাভীয়ারখালে, ডুবে যায় চারপাশ।

সিলেট নগরীর কুয়ারপাড় থেকে শুরু হয়ে শেখঘাট, বাগবাড়ী, কানিশাইল ও শামীমাবাদ হয়ে সুরমা নদীতে গিয়ে পতিত হয়েছে গাভীয়ারখাল। সিলেট সিটি করপোরেশনের নকশা অনুযায়ী, এ খালের প্রশস্ততা ১৫ থেকে ২৫ ফুট। সিলেট নগরীতে সুরমা নদীর উত্তর-পশ্চিম তীরবর্তী অঞ্চলের পানিপ্রবাহের প্রধান মাধ্যম হচ্ছে এই খাল। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে প্রভাবশালীরা গাভীয়ারখালে চালাচ্ছেন দখলের মহোৎসব। এ খাল দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে বহুতল ভবন, অনেকেই খাল দখল ও ভরাট করে প্লট হিসেবে বিক্রি করেছেন, অনেকে আবার খালের জায়গা দখল করে সীমানাপ্রাচীর দিয়ে নিজের কব্জায় রেখেছেন। প্রভাবশালীরা ইচ্ছামতো এই গাভীয়ারখালকে শাসন করে পাল্টে দিয়েছে এর গতিপথ। সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানও আছে গাভীয়ারখাল দখলের তালিকায়। সিলেটে এলজিডি কার্যালয়ের পেছনের দিকে খাল দখল করে গতিপথ পাল্টে দিয়ে সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ করা হয়েছে।

২০১৩ সালে সিলেট সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে বিজয়ী হন বিএনপি নেতা আরিফুল হক চৌধুরী। এরপর তিনি নগরবাসীকে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্ত রাখতে গাভীয়ারখাল উদ্ধার অভিযান শুরু করেন। ওই সময় উদ্ধার অভিযানে গাভীয়ারখালে স্পিডবোট চালিয়ে ব্যাপক শোরগোল ফেলেছিলেন আরিফ।



এই পাতার আরো খবর