ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীর অন্তরঙ্গ ছবি ছড়ানোর অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
প্রতীকী ছবি

রাজশাহীতে এক ব্যক্তি তার স্ত্রীর অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। নির্যাতনের মামলা করার কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে ওই ব্যক্তি এমন করছেন বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী তরুণী।

সোমবার সকালে রাজশাহী নগরীর একটি রেস্তোরাঁয় সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী তরুণী।

এ নিয়ে তিনি থানায় অভিযোগও করেছেন। তবে অভিযুক্ত ব্যক্তি ওই তরুণীকে বিয়ে করার কথা অস্বীকার করেছেন।

অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম আসিফ ইকবাল (৩০)। তিনি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা। থাকেন ঢাকায়। বাড়ি পাবনার সাঁথিয়া উপজেলায়। তার স্ত্রী দাবি করা ওই তরুণীর বাড়িও পাবনার সাঁথিয়া। তিনি এখন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সান্ধ্যকালীন মাস্টার্সে পড়াশোনা করছেন।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, প্রেমের সম্পর্কের পর ২০১৯ সালের ২ মার্চ আসিফের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। তখন আসিফ নারায়ণগঞ্জে কর্মরত ছিলেন। কাজী অফিসে গিয়ে তারা বিয়ে করেন। তারা তিন বছর নারায়ণগঞ্জে ভাড়া বাসায় থাকেন। বিয়ের পর আসিফ ৮ লাখ টাকা যৌতুক নেন। আরও ১০ লাখ টাকার জন্য তিনি নির্যাতন করতেন। 

তরুণী বলেন, তিন বছরে তার স্বামী দুইবার গর্ভের সন্তান নষ্ট করেছেন ওষুধ খাইয়ে। নির্যাতনের পর অসুস্থ অবস্থায় পড়ে থাকলে আসিফ ব্যথার ওষুধ বলে সেসব ওষুধ খাইয়েছেন। এরপর দুইবার তার গর্ভপাত ঘটেছে। নির্যাতন ও গর্ভপাতের কারণে গত বছর তিনি পাবনার আদালতে মামলা করেন। এতে ক্ষুব্ধ ছিলেন তার স্বামী আসিফ। কয়েক দিন ধরে আসিফ তার সঙ্গে থাকা কিছু অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়াচ্ছেন। এ নিয়ে তিনি নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানায় অভিযোগ করেছেন। 

নগরীর বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম বলেন, এ রকম অভিযোগ মাঝে মধ্যেই আসে। ওই তরুণীর অভিযোগটি এখনও দেখেননি। সেটি দেখে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অভিযুক্ত আসিফ ইকবাল দাবি করেন, ওই তরুণীর সঙ্গে তার বিয়ে হয়নি। সব অভিযোগ মিথ্যা। 

তিনি জানান, যে কাবিননামা দেখিয়ে ওই তরুণী মামলা করেছেন তা মিথ্যা। কাজী অফিস তার প্রত্যয়ন দিয়েছে। এ জন্য তিনিও ওই তরুণীর নামে মামলা করেছেন। দু’জনের মামলায় এখন বিচারাধীন। এ অবস্থায় তাকে বেকায়দায় ফেলতে তার বিরুদ্ধে নতুন অভিযোগ তোলা হচ্ছে বলে দাবি করেন।

বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন



এই পাতার আরো খবর