ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

এসি মেরামতের নামে লুটপাট, বাধা দেওয়ায় কুপিয়ে হত্যা
অনলাইন ডেস্ক

রাজধানীর সবুজবাগের দক্ষিণগাঁওয়ে বাসায় লুটপাটের সময় বাধা দেওয়া ও চিৎকার করায় তানিয়া আফরোজ (২৬) খুনের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পল্টন মডেল থানায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান মতিঝিল বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. আ. আহাদ।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন-রিফাত আলম বাপ্পী, তার দুই সহযোগী হৃদয় ও রুবেল। তাদের কাছ থেকে লুট করা এক জোড়া কানের দুল ও দুটি স্বর্ণের চেইন উদ্ধার করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, শনিবার বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটের দিকে বাপ্পী এসি সার্ভিসিং করার কথা বলে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট মো. ময়নুল ইসলামের বাসায় যান। বাপ্পী এক বছর আগে তাদের বাসায় এসি লাগিয়ে দেন। নিচে কেচিগেটে নক করলে তানিয়া নিচে নেমে আসেন। তখন স্বামী ময়নুলের সঙ্গে তানিয়ার কথা হয়। প্রথমে ময়নুল তার অনুপস্থিতিতে বাসায় প্রবেশে নিষেধ করলেও বাপ্পীর জোড়াজুড়িতে কাজ করতে বলেন।

তিনি আরও বলেন, প্রথমে বাসায় ঢুকে বাপ্পী ও হৃদয় আধঘণ্টার মতো এসির কাজ করেন। এর কিছুক্ষণ পর রুবেল তাদের বাসায় প্রবেশ করেন। এসময় রুবেলের পরিচয় জানতে চান তানিয়া। রুবেল তাদের সহযোগী বলে জানান বাপ্পী। তখন ১০ মাসের ছেলে তানভীরুলকে নিয়ে রান্নার কাজ করতে চলে যান তানিয়া।

কিছুক্ষণ পর তানিয়া রুমে ঢুকে আলমারি ও অন্যান্য জিনিসপত্র তছনছ করা দেখে চিৎকার শুরু করেন। এসময় রুবেল ও হৃদয় তাকে বালিশচাপা দেন। বাপ্পীর ব্যাগে থাকা চাপাতি দিয়ে তানিয়ার মাথায় একাধিকবার আঘাত করেন তারা। এরপর বাচ্চাদের মুখে স্কচটেপ পেচিয়ে বেঁধে রেখে মোবাইল ও স্বর্ণালংকার লুট করে পালিয়ে যান তিনজন।

বাপ্পীকে তার নিজ বাড়ি ঝালকাঠির নলসিটি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর রামপুরা থেকে হৃদয় ও রুবেলকে গ্রেফতার করা হয়। বাপ্পীর পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। হৃদয় ও রুবেলেরও রিমান্ড চাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন



এই পাতার আরো খবর