ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

অনিয়ম প্রতিরোধে ডিএনসিসির অভিযান, ৪ লক্ষাধিক টাকা জরিমানা
অনলাইন ডেস্ক

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) বিভিন্ন অঞ্চলে খাবারের দোকানে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, নিত্য পণ্যের দোকানে মূল্য তালিকা না থাকায়, নিত্য পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি ও স্বাস্থ্যবিধি না মানায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার ডিএনসিসি- অঞ্চল ৫ এর মোহাম্মদপুর এলাকার রিং রোড প্রিন্স বাজার ও আগোরা সুপার শপে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। বিভিন্ন ধারায় ৩টি মামলায় ৪ লাখ ৫১ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। মোতাকাব্বীর আহমেদ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা (অঞ্চল -০৫) এই অভিযান পরিচালনা করেন।

এদিন অঞ্চল-০৪ (মিরপুর-১০), ১২নং ওয়ার্ডের প্রায় ৩৭টি ভবন, স্থাপনা, জলাশয়, রেস্টুরেন্ট ও দোকানপাট পরিদর্শন করা হয়েছে। সবার ঢাকা এ্যাপ্স এর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অদ্য ২টি অভিযোগ নিষ্পত্তি করা হয়। মো. আবেদ আলী আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। 

অভিযানে ২টি দোকানে ট্রেড লাইসেন্স না থাকায় স্থানীয় সরকার (ঢাকা সিটি কর্পোরেশন) আইন ২০০৯ এর ৯২(৩ ও ৭) ধারায় ২টি মামলায় ৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি প্রায় ২৫০মিটার ফুটপাত অবৈধ দখলমুক্ত করা হয়।  

নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ ও ভেজাল খাদ্যদ্রব্যর বিরুদ্ধে ১টি হোটেলকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৪৩ ধারায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। করোনাভাইরাস জনিত রোগ (কোভিড-১৯) এর বিস্তার রোধকল্পে জনসাধারণকে সতর্ক করা সহ প্রায় ৫০টি মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে।

অঞ্চল-৭, ওয়ার্ড নং-৪৭, ৪৮ ও ৫০ এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। মো. জুলকার নায়ন আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (অঞ্চল-১) মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন। মোবাইল কোর্ট পরিচালনা কালে দোকান মালিকগন দ্রব্যমূল্যের তালিকা মোতাবেক বিক্রি হচ্ছে কিনা ও স্বাস্থ্যবিধি সঠিকভাবে মানা হচ্ছে কিনা তা তদারকি করা এবং জনসাধারণের মাঝে প্রায় ১০০টি মাস্ক বিতরণ করা হয় এবং অভিযান পরিচালনাকালে জরিমানা করার মত পরিস্থিতির উদ্ভব হয়নি।

অঞ্চল-০২ এর ওয়ার্ড নং- ০৬ রূপনগর থানা এলাকায় মোবাইলকোর্ট পরিচালনা করা হয়। মো. জিয়াউর রহমান, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এই মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন। ভেজাল খাদ্যদ্রব্যের বিরুদ্ধে হোটেল, রেস্তোরায় মোবাইলকোর্ট পরিচালনা করা হয়। ৩টি মামলায় মোট ৮ হাজার ৫০০টাকা জরিমানা করা হয়।

বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর



এই পাতার আরো খবর