নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে সাত বছর বয়সী আবদুল্লাহ খুন হওয়ার ঘটনায় তার সৎ বাবা আরিফকে (৩২) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বিষয়টি বুধবার সকালে নিশ্চিত করেছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা।
এর আগে গত (২৪ এপ্রিল) সিদ্ধিরগঞ্জের আজিবপুর বাগানবাড়ী জাহাঙ্গীরের ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আবদুল্লাহ যাত্রাবাড়ীর কাজলারপাড় এলাকায় জুয়েল মিয়ার ছেলে। সে তার মায়ের সঙ্গে সিদ্ধিরগঞ্জের আজিবপুর বাগানবাড়ী এলাকার জাহাঙ্গীরের বাসায় থাকতো।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নিহত আবদুল্লাহ আপন মা স্বপ্না আক্তার এবং সৎ পিতা আরিফের সাথে সিদ্ধিরগঞ্জের জাহাঙ্গীরের বাসায় বসবাস করে আসছিল। গ্রেফতারকৃত আরিফ গত ২৪ এপ্রিল দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আবদুল্লাহকে বিভিন্ন অজুহাতে মারধর করতে থাকে। মারধরের একপর্যায়ে বাড়ির গলির রাস্তায় টাঙ্গানো মইয়ে তাকে ঝুলিয়ে মারধর করে ও উপর থেকে ফেলে দেয় এবং দুই পা ধরে শূন্যে ভাসিয়ে রেখে দেয়ালের সাথে সজোরে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় আঘাত করে গুরুতর জখম করে। পরে তার মা আবদুল্লাহকে সেবা যত্ন করতে থাকে। রাতে সে জ্বরে কাঁপতে থাকলে তাকে ডাক্তারের কাছে নিতে চাইলে আরিফ তাতে বাধা প্রদান করে।
আবদুল্লাহর অবস্থা আরও খারাপ হলে গত ২৫ এপ্রিল সকালে সৎ বাবা আরিফসহ তাকে মাতুয়াইল মাতৃসনদ হাসপাতালে নিয়ে যান মা স্বপ্না আক্তার। তবে কর্তব্যরত চিকিৎসক আবদুল্লাহকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেয়। পরে আবদুল্লাহকে নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আব্দুল্লাহকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় তখন বিবাদী আরিফ মৃত আবদুল্লাহ ও তার মাকে সিএনজিতে তুলে দিয়ে তাকে দাফন করার পরামর্শ দিয়ে চলে যায়। স্বপ্না আক্তার আরিফের কথামত আব্দুল্লাহকে নিয়ে পূর্বের স্বামীর বাড়ি যাত্রাবাড়ী থানাধীন কাজলারপাড় দাফন করেন। এ ঘটনায় আজ নিহতের মা স্বপ্না আক্তার বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা (৫৪) দায়ের করেন।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের হয়। ঘটনায় জড়িত আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ তাকে নারায়ণগঞ্জের বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হবে বলে জানান ওসি গোলাম মােস্তফা।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত