ঢাকা, বুধবার, ২৪ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

৯৯৯- এ স্কুলছাত্রের ফোন, প্রতারকদের সাথে দুবাই যাত্রাকালে তরুণী উদ্ধার
অনলাইন প্রতিবেদক
ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর

পরিচিত ব্যক্তির মাধ্যমে এক স্কুলছাত্রের বড় বোন দুবাই যাচ্ছিলেন পার্লারে কাজ করার জন্য। কিন্তু ভিসার কপি দেখে সন্দেহ হওয়ায় ওই স্কুলছাত্র সংযুক্ত আরব আমিরাত দূতাবাসে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, ভিসাটি ভুয়া। কিন্তু ততক্ষণে প্রতারকচক্রের সাথে তার বোন রওনা দিয়েছেন এবং তার কাছে কোনো ফোনও ছিল না। অল্প কিছুক্ষণের মধ্যে প্রতারক চক্র তার বোনকে নিয়ে ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা। সেদিন রাত নয়টার ফ্লাইটে তার বোনের দুবাই যাওয়ার কথা ছিল।

এমন তথ্য জানিয়ে সোমবার সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে এক স্কুলছাত্র জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল দেয়। উচ্চ মাধ্যমিকে অধ্যয়নরত ওই শিক্ষার্থী তার বোনকে উদ্ধারে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানায়।

৯৯৯- এর কলগ্রহণকারী কনস্টেবল মিজানুর রহমান কলটি রিসিভ করেছিলেন। কনস্টেবল মিজান তাৎক্ষণিকভাবে এয়ারপোর্ট থানা এবং ইমিগ্রেশন পুলিশকে বিষয়টি জানান। তিনি ওই তরুণীকে উদ্ধারের ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জানান। ৯৯৯- এর ডিসপাচার এএসআই আসাদুজ্জামান সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ এবং কলারের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করে পুলিশি তৎপরতার খোঁজ-খবর নিতে থাকেন।

পরবর্তীতে ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার  শাহনাজ বেগম ৯৯৯- কে জানান, তারা ওই তরুণীর যাত্রা স্থগিত করে তার ভাই এবং স্বামীর কাছে তাকে তুলে দিয়েছেন।

এরইমধ্যে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) প্রতারকচক্রের দুই দালালকে গ্রেফতার করে। তাদেরকে এয়ারপোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলো- খিলক্ষেত মধ্যপাড়া এলাকার মৃত আবদুল করিম বেপারির ছেলে মো. আবদুল খালেক এবং কুমিল্লার বড়ুরা থানার মৃত কেরামত আলীর পুত্র  মো. ফয়েজুল্লাহ সবুজ (৫৩)। এ  ঘটনায় এয়ারপোর্ট থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে (মামলা নম্বর ৩১, তারিখ ৩০/০৫/২০২৩ খ্রি)।

বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল



এই পাতার আরো খবর