ঢাকা, রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

১৩৯ শহীদ পরিবারকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির আশ্বাস শামীম ওসমানের

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান ১৯৭১ সালে নারায়ণগঞ্জের বক্তাবলীতে পাক হানাদার বাহিনী নির্মতায় হত্যার শিকার ১৩৯ পরিবারকে রাষ্ট্রীয় স্বীকিৃতির ব্যবস্থা করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।

তিনি পরিবারগুলোর সদস্যদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে বলেছেন, স্বাধীনতার ৪৫ বছরে পরিবারগুলোকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি এটা পরিতাপের বিষয়। তাই পরিবারগুলোর তালিকা করে জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো: আলীর কাছে জমা দেওয়ার আহবান জানিয়েছেন। পরে সেই তালিকা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ের মাধ্যমে শহীদের পরিবারগুলোকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির ব্যবস্থা করা হবে।

আজ দুপুর ৩টায় ফতুল্লার বক্তাবলী লক্ষী নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহীদ দিবস উদযাপন কমিটির উদ্যোগে শহীদ স্মরণে আয়োজিত শোক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই আশ্বাস দেন।

তিনি শোক সভায় উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে আরো বলেন, নদী বেষ্টিত এ বক্তাবলীকে ৯৫ সালে সংসদ সদস্য থাকা অবস্থায় উপ-শহর ঘোষণা করেছিলাম। এবার শহরে রূপান্তিত করব। শুধু আপনারা ৪টি বিষয়ে পাশে দাঁড়াবেন তা হলো- মাদক নির্মূল, ইভটিজিং, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাস প্রতিরোধ। ইতমধ্যে নদী পারপারের জন্য ফেরী আনা হয়েছে। আরো উন্নয়ন হবে।

শোক সভায় সভাপতিত্ব করেন বক্তাবলী ইউনিয়র পরিষদের চেয়ারম্যান ও শহীদ দিবস উদযাপন কমিটির আহবায়ক শওকত আলী। প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা মুিক্তযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: আলী। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফউল্লাহ বাদল, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি চন্দন শীল, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মো: শহীদ বাদল। এর আগে শোক দিবসটি উপলক্ষ্যে কানাইনগর কলেজ মাঠে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ ও বধ্য ভূমিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক আনিছুর রহমান মিঞা, সদর উপজেলা ইউএনও গাউছুল আজমসহ অন্যান সংগঠন।

প্রসঙ্গত ১৯৭১ সালের ২৯ শে নভেম্বর বর্বর পাক হানাদার বাহিনী ওই এলাকায় ভোর রাতে অভিযান চালিয়ে ১৩৯ জন নিরস্ত্র মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা করেছিল। আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছিল ২২ টি গ্রাম।

বিডি-প্রতিদিন/ ২৯ নভেম্বর ১৪/ সালাহ উদ্দীন

 



এই পাতার আরো খবর