রাজধানীর উত্তরার মেগাশপের বিক্রয়কর্মীকে গণধর্ষণের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ও র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
দক্ষিণখান এলাকা থেকে শুক্রবার দুপুরে তরুণীর সহকর্মী আরিফকে (২৫) র্যাব এবং রাতে উত্তরা-৩ নম্বর সেক্টর থেকে আরিফের সহযোগী সাদিকুল ইসলাম বাবু (২১) ও আশুলিয়ার জিরাবো থেকে অপর সহযোগী আসলাম উদ্দিন আসলামকে (২২) গ্রেফতার করে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ।
উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলী হোসেন বলেন, ‘ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে রাতে উত্তরা ও আশুলিয়া এলাকা থেকে সাদিকুল ইসলাম ও আসলাম উদ্দিনকে গ্রেফতার করেছি।’
তিনি জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করেছে, তারা ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত। গ্রেফতার দু’জনের গ্রামের বাড়ি জামালপুরে। শনিবার তাদের আদালতে পাঠানো হবে।’
এ ঘটনায় উত্তরা পশ্চিম থানায় ধর্ষিতার পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছে বলে জানান ওসি।
র্যাব-১ এর উপ-অধিনায়ক কাজী মো. শোয়াইব বলনে, ‘দুপুরে ঢাকার দক্ষিণখান এলাকায় অভিযান চালিয়ে ভাড়া বাসা থেকে আরিফকে গ্রেফতার করা হয়। তবে তাকে এখনও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি।’
পরিবারের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে উত্তরার রাজলক্ষ্মী মার্কেটের পেছনের নির্মাণাধীন ভবনে একটি মেগাশপের বিক্রিয়ককর্মীকে (১৭) সহযোগীদের নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে তার সহকর্মী আরিফ।
তরুণীর দুলাভাই জানান, তার শ্যালিকা তাদের সঙ্গে আজমপুরের বাসায় থাকে। মাসখানেক আগে রাজলক্ষ্মীর একটি মেগাশপে সে বিক্রয়কর্মীর চাকরি নেয়। প্রতিদিন সে বাসা থেকে হেঁটেই কর্মস্থলে আসা-যাওয়া করত।
তরুণীর বরাত দিয়ে তিনি জানান, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে কাজ শেষে সে (তরুণী) বাসার উদ্দেশে রওয়ানা হয়। একই মেগাশপের বিক্রয়কর্মী আরিফ এবং আরও দুই যুবক মিলে তাকে মুখ চেপে ধরে পাশের নির্মাণাধীন একটি ভবনে নিয়ে যায়। সেখানে ওই তিন যুবক তাকে হত্যার ভয় দেখিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে চলে যায়। তবে আরিফ ছাড়া অন্য দু’জনকে সে চিনতে পারেনি।
তিনি আরও জানান, রাত ১১টার দিকে মেয়েটি বাসায় গিয়ে তার বোন ও তাকে ঘটনাটি জানায়। আহত অবস্থায় তাকে রাত ৩টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যান তিনি।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের সহকারী ইনচার্জ সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) সেন্টু চন্দ্র দাস জানান, ওই তরুণীকে হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/০১ আগস্ট ২০১৫/ এস আহমেদ