ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

করোনাভাইরাস: যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য নিতে আপত্তি নেই চীনের
অনলাইন ডেস্ক
ফাইল ছবি

মহামারী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চীনে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৯০ এবং বিশ্বব্যাপী আক্রান্ত হয়েছে ২৪ হাজারের বেশি মানুষ। গত ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। গতকাল মঙ্গলবার ওই প্রদেশে ৬৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। 

এদিকে আমেরিকা অহেতুক এই রোগ নিয়ে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে, এমন অভিযোগ তুললেও এখন চীন প্রশাসন বলছে, মার্কিন সাহায্য নিতে তাদের কোনও আপত্তি নেই। 

চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনিং বলেছেন, ‘‘আমেরিকা একটি নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ, শান্তিপূর্ণ যুক্তিযুক্ত অবস্থান নিক। অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি বন্ধ করুক। আমেরিকা বারবারই সহায়তা করার আগ্রহ দেখিয়েছে। চীন সেটা জানে। আমাদের আশা, দ্রুত আমরা সাহায্য পাব।’’  অন্যদিকে হোয়াইট হাউসও জানিয়েছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মার্কিন বিশেষজ্ঞদের এই ভাইরাস সংক্রান্ত গবেষণা ও লড়াইয়ের প্রস্তাবে সায় দিয়েছে চীন। 

হুবেইয়ের প্রাদেশিক রাজধানী শহর উহান-সহ বেশ কিছু শহর তালাবন্ধ হয়ে যাওয়া এবং চীনে সফর নিয়ন্ত্রিত হওয়ায় আন্তর্জাতিক ভাবে ক্রমশ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে চীন। আর্থিক অব্যবস্থার আশঙ্কা আরও বাড়ছে।

এর মধ্যে সিঙ্গাপুর থেকে স্থানীয় ভাবে সংক্রমণের খবর চিন্তা বাড়িয়েছে স্বাস্থ্য-বিশেষজ্ঞদের। এই শহরের চারজন এমন নারী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন যাঁরা চীনের উহানে যাননি বলে দাবি। এদের মধ্যে দু’জন কাজ করেন সিঙ্গাপুরের কালাং সাবজোনে। সেখানে ল্যাভেন্ডার নামে একটি জায়গার ক্যাভান রোডে চীনা স্বাস্থ্য-সামগ্রী বিক্রি হয়। সেই দোকানের কর্মী তারা। চীনা পর্যটক গোষ্ঠীদের সাহায্য করে এই দোকান। 

তৃতীয় নারী একজনের পরিচারিকার কাজ করেন। চতুর্থজন টুর-গাইডের কাজ করেন। তিনি চীনা পর্যটকের একটি দলকে ওই দোকানেই নিয়ে গিয়েছিলেন। পর্যটক-দলটি চীনে ফিরে গিয়েছে। তার পরেই এই খবর মিলেছে।

স্থানীয় সংক্রমণ ছাড়াও সিঙ্গাপুরে আরও দু’জনের আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে মঙ্গলবার। ৯২ জনের যে দলটিকে গত বৃহস্পতিবার সিঙ্গাপুর থেকে উহানে ফেরত পাঠানো হয়েছিল, তাঁদের মধ্যে ছিলেন এই দু’জন। সব মিলিয়ে এখন সিঙ্গাপুরে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ছুঁয়েছে ২৪।

করোনাভাইরাসের আতঙ্কের মধ্যে ছড়াচ্ছে বিদেশ-ভীতিও। বিশ্ব জুড়ে এশীয়দের নিয়ে তৈরি হচ্ছে অহেতুক সন্দেহ। সম্প্রতি এমন খবর এসেছে অস্ট্রেলিয়ার গোল্ড কোস্ট থেকে। সেখানে এক রোগী তাঁর চিকিৎসক রিয়া লিয়াংয়ের সঙ্গে করমর্দন করতে আপত্তি জানান। স্তম্ভিত রিয়া বিষয়টি সোশ্যাল মিডিয়ায় জানাতেই দেখা যায়, এমন ঘটনা নিয়মিত ঘটছে। এশীয় বংশোদ্ভূত অনেক ব্যক্তিই এমন হেনস্থার মুখে পড়ছেন বলে অভিযোগ।

 

বিডি প্রতিদিন/হিমেল-সিফাত আব্দুল্লাহ



এই পাতার আরো খবর