বিশ্বের মোট করোনা সংক্রমণের অর্ধেকের বেশি ঘটেছে ইউরোপে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) সতর্ক করেছে এ শীতে পুরো ইউরোপকেই ভোগাবে করোনা। ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে পাঁচ লাখ মৃত্যু হতে পারে এ মহাদেশে।
নরওয়েতে ৮৭ শতাংশ মানুষকে টিকা হয়ে গেছে। নতুন সংক্রমণ ঢেউ থেকে বাঁচতে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু করছে নরওয়েতে। যারা টিকা নেননি এখনও তাদের সপ্তাহে দুইবার করোনা-পরীক্ষা করানোর নির্দেশ দিয়েছে সরকার।
গত সপ্তাহে পুরো জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, অস্ট্রিয়া, রোমানিয়ায় নতুন করে সংক্রমণ ঢেউ আছড়ে পড়ার ইঙ্গিত স্পষ্ট। ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, ইউরোপে করোনায় মৃত্যু গত সপ্তাহে ১০ শতাংশ বেড়ে গেছে। সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি ঘটছে নেদারল্যান্ডসে। অথচ এ দেশে ৮৫ শতাংশ মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় নেদারল্যান্ডসে ১৬ হাজার ৩৬৪ জন সংক্রমিত হয়েছেন, যা মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ দৈনিক সংক্রমণ। এ অবস্থায় নেদারল্যান্ডস সরকার তিন সপ্তাহের জন্য আংশিক লকডাউন ঘোষণা করতে চলেছে। অতি প্রয়োজনীয় নয়, এমন সবকিছু বন্ধ রাখা হবে। বিভিন্ন খেলার টুর্নামেন্টগুলোও বন্ধ থাকবে বলে জানা গেছে।
অস্ট্রিয়া সরকার জানিয়েছে, যাদের টিকা দেওয়া হয়নি, তাদের গতিবিধিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে। অস্ট্রিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় ১১ হাজার মানুষ সংক্রমিত হয়েছেন। অস্ট্রিয়াকে ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকায় রেখেছে জার্মানি। জার্মানিতেও নতুন করোনা-বিধিতে জানানো হয়েছে, টিকা নেওয়া না-থাকলে পানশালা, রেস্তোরাঁ বা কোনো বদ্ধ জায়গায় প্রবেশ করা যাবে না।
বিডি প্রতিদিন / অন্তরা কবির