ঢাকা, সোমবার, ২৯ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

কানাডার বিভিন্ন প্রদেশে রেকর্ড সংখ্যক নতুন ভ্যারিয়েন্ট
কানাডা প্রতিনিধি

কানাডায় ব্যাপক সংক্রমণযোগ্য ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট দিন দিন বেড়েই চলেছে। প্রধান চারটি প্রদেশ ব্রিটিশ কলম্বিয়া, অন্টারিও, কুইবেক ও আলবার্টায় প্রতিদিনই নতুন নতুন রোগী শনাক্ত হচ্ছে। আলবার্টার ক্যালগেরির কোভিড পরীক্ষা কেন্দ্রে সরজমিনে বিশাল লাইন দেখা গেছে। সারা কানাডার চিত্র প্রায় একইরকম। ইতিমধ্যে বিভিন্ন প্রদেশের প্রধানগণ সতর্কতা জারিসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। হাসপাতালে পূর্বের তুলনায় রোগীর চাপ বাড়ছে। আইসিইউ পরিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। পূর্বের অনেক সার্জারি সিডিউল পিছিয়ে নেয়া হচ্ছে। জরুরী রোগী ছাড়া হাসপাতালগুলি পরামর্শ দিচ্ছে বাড়িতে সেবা নিতে। 

ইতোমধ্যে কানাডায় ছোট-বড় অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নতুন করে বন্ধ হয়ে গেছে। এসব প্রতিষ্ঠানের অনেক কর্মী করনোয় আক্রান্ত হওয়ায় আবার অনেকে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কায় কর্মস্থলে আশা বাদ দিয়েছেন। ফলে মালিকেরা তাদের ব্যবসা বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছেন। একইভাবে দেশের জরুরী পরিষেবাগুলোতেও কর্মী সংকট দেখা দেয়ায় স্বাভাবিক কার্যক্রম বজায় রাখা কঠিন সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

অন্যদিকে কানাডা মৃদু বা মাঝারি কোভিড-১৯সহ প্রাপ্তবয়স্ক রোগীদের জন্য প্যাক্সলোভিড অনুমোদন করেছে যারা অধিক গুরুতর অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। তবে, হেলথ কানাডা কিশোর-কিশোরীদের বা কোভিড-১৯-এর কারণে ইতিমধ্যেই হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের উপর ব্যবহারের জন্য এটি অনুমোদন করেনি।

হেলথ কানাডার প্রধান চিকিৎসা উপদেষ্টা ডা. সুপ্রিয়া শর্মা বলেছেন, অনুমোদনটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আসে কারণ আমরা নতুন রূপের মুখোমুখি হয়েছি। ঔষধটি উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ লোকেদের হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা হ্রাস করে স্বাস্থ্য-খাতে ব্যবস্থার উপর চাপ কমাতে সাহায্য করতে পারে।

ডা. শর্মা আরো বলেন, ক্লিনিকাল ট্রায়ালগুলি প্রমাণ দিয়েছে যে, প্যাক্সলোভিডের সাথে চিকিৎসা লক্ষণগুলি শুরু হওয়ার তিন দিনের মধ্যে ওষুধগুলি শুরু করা হলে কোভিড-১৯ দ্বারা সৃষ্ট হাসপাতালে ভর্তি এবং মৃত্যুর ঝুঁকি ৮৯ শতাংশ কমিয়ে দেয় এবং পাঁচ দিনের মধ্যে শুরু হলে মৃত্যুর ঝুঁকি কমিয়ে দেয় ৮৫ শতাংশ।

কানাডার চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. থেরেসা ট্যাম বলেছেন, “প্যাক্সলোভিডের প্রভাব এখনই দেখা যাবে না।” প্যাক্সলোভিডের জন্য অগ্রাধিকার দেওয়া হবে যারা মাঝারি থেকে গুরুতরভাবে ইমিউনো কমপ্রোমাইজড এবং ভ্যাকসিন দিয়ে কোভিড-১৯এর বিরুদ্ধে যথেষ্ট সুরক্ষা মাউন্ট করেন না যেমন, ৮০ বছরের বেশি বয়সী যাদের ভ্যাকসিন আপ টু ডেট নয়; এবং ৬০ বছর বা তার বেশি বয়স্ক যারা গ্রামীণ বা সুবিধাবঞ্চিত সম্প্রদায়ে বসবাস করছেন, যার মধ্যে ফার্স্ট নেশন, ইনুইট এবং মেটিস ব্যক্তিরা যাদের টিকা আপ টু ডেট নয়।

উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই কানাডার স্বাস্থ্য কেন্দ্রের এবং জরুরী পরিষেবার অনেক কর্মী অসুস্থ থাকায় হাসপাতালসহ জরুরি বিভাগকে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

বিডি প্রতিদিন/হিমেল



এই পাতার আরো খবর