ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

২০২৪ পর্যন্ত আইসোলেশন নীতি থাকতে পারে হংকংয়ে
অনলাইন ডেস্ক
ফাইল ছবি

হংকংয়ের ইউরোপিয়ান চেম্বার অফ কমার্সের এক খসড়া প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হংকংয়ে ২০২৪ সালের শুরু পর্যন্ত করোনার কঠোর নীতি চালু থাকতে পারে৷ বার্তা সংস্থা রয়টার্স প্রতিবেদনটি দেখেছে৷ তবে এটি এখনো প্রকাশ করা হয়নি৷

খসড়া প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৪ সাল পর্যন্ত কঠোর নীতি চালু থাকলে বিদেশি কোম্পানিগুলো তাদের কার্যালয় ও কর্মী সিঙ্গাপুর কিংবা সৌলের মতো জায়গায় সরিয়ে নিতে পারে৷ সেক্ষেত্রে ফিন্যান্সিয়াল হাব বা আর্থিক কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে হংকংয়ের পরিচিতি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে৷

এতে বলা হয়, ১৪০ কোটি নাগরিককে চীন তার নিজস্ব এমআরএনএ টিকা না দেয়া পর্যন্ত হংকংয়ে কঠোর নীতি থাকতে পারে৷ ২০২৩ সালের শেষ কিংবা ২০২৪ সালের শুরু পর্যন্ত এই কাজ চলতে পারে৷ এখন পর্যন্ত চীন তার নাগরিকদের দেশে তৈরি সিনোফার্ম ও সিনোভ্যাকের টিকা দিয়েছে৷ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, করোনা মোকাবিলায় সিনোভ্যাকের টিকা মাত্র ৫১ শতাংশ ও সিনোফার্মের টিকা ৭৯ শতাংশ কার্যকর৷ আর বায়োনটেক-ফাইজার ও মডার্নার মতো এমআরএনএ টিকা ৯৫ শতাংশ কার্যকর৷ এছাড়া চীনের টিকাগুলোর কার্যকারিতার মেয়াদও খুব বেশিদিন স্থায়ী হয় না বলে গবেষণায় জানা গেছে৷ 

২০২১ সালে হংকংয়ে করোনা নিয়ন্ত্রণে থাকলেও চলতি মাসে সংক্রমণ অনেক বেড়েছে৷ বুধবার নতুন করে ১০৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন৷ ফলে টানা চারদিন সংক্রমণের সংখ্যা তিন অংক পেরিয়ে গেছে৷

ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার কারণে বর্তমানে হংকং বিশ্বের অন্যতম বিচ্ছিন্ন এলাকায় পরিণত হয়েছে৷ খুব কম সংখ্যক মানুষকে হংকংয়ে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে৷ তার চেয়েও কম মানুষকে ট্রানজিট করতে দেওয়া হচ্ছে।

এদিকে আর্থিক কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে হংকংয়ের প্রতিদ্বন্দ্বী সিঙ্গাপুরে সীমান্ত খুলে দেয়াসহ করোনার নীতিমালা সহজ করা হচ্ছে৷ সিঙ্গাপুরের প্রায় ৯১ শতাংশ মানুষ করোনার পূর্ণ টিকা পেয়েছেন৷ হংকংয়ের ক্ষেত্রে সংখ্যাটি মাত্র ৭০ শতাংশ৷ হংকংয়ের বয়স্ক মানুষদের বেশিরভাগ এখনও টিকা নেননি বা পাননি৷

ইউরোপিয়ান চেম্বার অফ কমার্স হংকং কর্তৃপক্ষকে টিকাদান কর্মসূচিতে গতি আনার পরামর্শ দিয়েছে৷ এছাড়া কোয়ারান্টিনের মেয়াদ ২১ দিন থেকে কমিয়ে সাত বা ১৪ দিন করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে৷

সূত্র : ডয়চে ভেলে, রয়টার্স 

বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ

 



এই পাতার আরো খবর