ঢাকা, রবিবার, ২৮ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

নেত্রকোনায় শিক্ষার্থীদের টিকাদানে উপেক্ষিত স্বাস্থ্যবিধি
নেত্রকোনা প্রতিনিধি

নেত্রকোনার মদনে শিক্ষার্থীদের করোনার টিকাদানে উপেক্ষিত স্বাস্থ্যবিধি। টিকা নিতে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়ছেন কোমলমতি শিশুরা। 

মঙ্গলবার সকাল থেকে দেখা গেছে, মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শিক্ষার্থীদের উপচে পড়া ভিড়। কয়েক ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী। 

ভিড় সামলাতে হিমসিম খাচ্ছে উপজেলা প্রশাসনসহ নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা স্বেচ্ছাসেবকরাও। শিক্ষার্থীদের এমন ভিড়ে করোনার সংক্রমণ বেড়ে দ্বিগুণ হওয়ার আশংঙ্কা দেখা দিয়েছে বলে মনে করছেন সচেতনরা।

মঙ্গলবার দুপুরের দিকে ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ধাক্কাধাক্কিতে তামান্না আক্তার, সামিরা আক্তার, সাদিয়া ও সুমাইয়া, মনিরা নামের ৫ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাদেরকে তাৎক্ষণিক হাসপাতালের জরুরী বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হয়। অনেকেই বখাটেদের শ্লীলতাহানির শিকার হন বলে অভিযোগ। 

ওই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, করোনা ভাইরাস বিস্তার রোধে সারা দেশের ন্যায় নেত্রকোনার মদনে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া হচ্ছে। মদন উপজেলায় ১১ হাজার ৭০০ শিক্ষার্থীকে প্রথম ডোজে টিকা দেওয়া সম্পন্ন হয়েছে। এবার দ্বিতীয় ডোজ টিকা দান কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিতে মঙ্গলবার সকাল থেকে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী ভিড় করেছে কেন্দ্র প্রাঙ্গণে। 

শিক্ষা অফিসের তথ্যমতে, মঙ্গলবার ১ হাজার ৭৪৫ শিক্ষার্থীর টিকা দেওয়ার কথা রয়েছে। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের অবহেলায় অতিরিক্ত শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভিড় করেছে। এতে করে বিপাকে পড়েছেন টিকাদান কার্যক্রমের সংশ্লিষ্টরা। 

মদন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমী সুপারভাইজার জোসনা বেগম বলেন, মঙ্গলবার ৬ টি প্রতিষ্ঠানের ১ হাজার ৭৪৫ জন শিক্ষার্থী টিকা দেওয়ার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে। কিন্তু ভুল করে ৬টির অধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা চলে আসায় সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। 

মদন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (টিইচও) মোহাম্মদ হুমায়ূন কবীর বলেন, শিক্ষার্থীদের উপচে পড়া ভিড়ে টিকা কার্যক্রমের কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। আমরা গুরুত্বের সাথে বিষয়টি দেখছি। 

টিকাদান কর্মসূচির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বুলবুল আহমেদ বলেন, শিক্ষার্থীদের উপচে পড়া ভিড়ের খবর পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করেছি। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীসহ আমি নিজে থেকে টিকাদান কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি।

বিডি প্রতিদিন/হিমেল



এই পাতার আরো খবর