ঢাকা, মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

করোনা স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিনোদন পার্কগুলো খুলে দেওয়ার অনুরোধ
অনলাইন ডেস্ক

বিশ্বব্যাপী মহামারিতে দীর্ঘদিন ধরে দেশের পর্যটন ও বিনোদন খাতের বিশাল কর্মসংস্থানসহ সরকারি  কোষাগারে আয়কর, মূসক ও অন্যান্য কর বাবদ বিপুল রাজস্ব প্রদানের মাধ্যমে দেশের উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে আসছে।

বিনোদন পার্কগুলো দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় প্রতিষ্ঠানগুলো আর্থিকভাবে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হলেও মানবিক কারণে বিনোদন পার্ক সমূহের শ্রমিক, কর্মচারি ও কর্মকর্তাদের বেতন ভাতা সময়মত পরিশোধ করা হয়েছে।

দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার ফলে এ খাতটি পুনরায় আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে এবং রাইডস ও যন্ত্রসমুহ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। অন্যান্য ব্যবসায় খাতের ন্যায় আমাদের বিনোদন পার্কগুলো খুলে না দেয়া হলে এই প্রতিষ্ঠানগুলো টিকিয়ে রাখা সম্ভব হবে না।

প্রায় ২ বছরের মতো সময় ধরে বিনোদন পার্কসমূহ বন্ধ থাকার কারণে এই খাতটির কর্মরত শ্রমিক, কর্মচারি ও কর্মকর্তাগণকে অনেক ক্ষেত্রে বেতন ভাতা পরিশোধ করা সম্ভব হচ্ছেনা বিধায় তারা মানবেতর জীবন যাপন করছে।

অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্যি, অন্যান্য অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন স্থানের সাথে তুলনা করে বিনোদন পার্ক খাতটি খোলার ব্যাপারে কোন প্রকার সরকারি সিদ্ধান্ত বা দিক নির্দেশনা এখনও দেয়া হয়নি। তাই এই খাতের সাথে জড়িত সকল উদ্যোক্তা, কর্মচারি ও কর্মকর্তাগণ খুবই উৎকণ্ঠা ও অসহায় অবস্থায় দিন যাপন করছে। যার ফলে বিনোদন পার্ক খাতগুলো মুখ থুবড়ে পড়েছে।

অন্যান্য খাত যেভাবে স্বাস্থবিধি মেনে পরিচালিত হয়, অনুরূপভাবে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড'র করোনা কালীন এস.ও.পি. মেনে ধারণক্ষমতা ৫০% দর্শনার্থীদের নিয়ে পার্ক পরিচালনা করার অনুমতি প্রদানের জন্য বাপা সভাপতি অনুরোধ জানান। তাছাড়া বদ্ধ স্থানের তুলনায় উন্মুক্ত ও খোলামেলা পরিবেশে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হবার সম্ভাবনা কম থাকে। যেহেতু পার্কগুলো বিশাল এলাকাজুড়ে স্থাপিত তাই সামজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়ানো সম্ভব।

করোনাভাইরাসের মধ্যেও জীবন-জীবিকার জন্য অন্যান্য খাত স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিধি-নিষেধ শিথিল করা হলেও এই বিনোদন পার্ক খাত নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়নি। যদিও পার্কগুলোতে সামাজিক দূরুত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মানা খুবই সহজ।  

বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব এমিউজমেন্ট পার্কস এন্ড এট্রাকশনস (বাপা)- এর সভাপতি শাহরিয়ার কামাল প্রশাসনের কাছে বিনীত অনুরোধ করেন, যেন চলমান লকডাউন শেষে আগামী ১১ আগস্ট হতে অন্যান্য খাতের ন্যায় বিনোদন পার্কগুলো খুলে দেওয়া হয়।

 

বিডি প্রতিদিন / অন্তরা কবির 



এই পাতার আরো খবর