ঢাকা, শুক্রবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

বাপা'র সাথে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মতবিনিময় সভা
অনলাইন ডেস্ক
বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব এমিউজম্যান্ট পার্কস এন্ড এট্রাকশনস (বাপা)-এর প্রতিনিধিদের সাথে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রী ও সচিবের মাঝে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।    সভার শুরুতে বাপা'র সভাপতি শাহরিয়ার কামাল বর্তমান প্রক্ষাপটে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড-এর এসওপি ও সকল স্বাস্থ্যবিধি মেনে কিভাবে পার্ক পরিচালনা করা হচ্ছে সে ব্যাপারে প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী এবং মন্ত্রনালয়কে অবহিত করেন। প্রতিমন্ত্রী এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ উপস্থিত সবাই এই ব্যাপারে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং বিনোদন পার্ক পরিদর্শনের জন্য সম্মতি জ্ঞাপন করেন।    প্রতিমন্ত্রী বলেন, যেহেতু এই খাতে প্রচুর বিনিয়োগ রয়েছে এবং অনেক লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে সেজন্য বর্তমান সরকার এই খাতটির ব্যাপারে খুবই আশাবাদী এবং যেকোন ধরনের সহযোগিতা প্রয়োজন হলে প্রদানের আশ্বাস প্রদান করেন। বর্তমান অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে দেশে অবস্থিত বিনোদন পার্কের চলমান সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে এবং স্ব-অবস্থায় ফিরে আসার স্বার্থে বাপা প্রতিনিধিরা বিভিন্ন প্রস্তাবনাসমূহ তুলে ধরেন।     উল্লেখ্যযোগ্য প্রস্তাবনাসমূহ হল: ১. বিনোদন পার্ক/ থিম পার্কসমূহ পর্যটন শিল্পের অর্ন্তভুক্ত হওয়ায় এই খাতটিকে শিল্প হিসাবে ঘোষিত সুযোগ সুবিধা পাওয়ার ব্যবস্থা করা। ২. আগামী ৩ বছরের জন্য বিনোদন পার্ক এর উপর কর্পোরেট ট্যাক্স, ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্কসহ অন্যান্য কর মওকুফ করা যাতে অপেক্ষাকৃত কম মূল্যে পর্যটক ও দর্শনার্থীদের বিনোদন সেবা প্রদান করা। ৩. বিনোদন পার্কসমূহকে টিকিয়ে রাখার স্বার্থে সরকার কর্তৃক ঘোষিত বিভিন্ন প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় বিনোদন পার্কসমূহকে অন্তর্ভুক্ত করা। ৪. আগামী ৩ বছর নতুন বিনোদন পার্ক নির্মাণ ও বর্তমান স্থাপনার সংযোজনার জন্য আমদানিকৃত বিভিন্ন রাইডসহ অন্যান্য যন্ত্রপাতিতে মূসক ও শুল্ক কর মুক্ত আমদানীর সুযোগ প্রদান। ৫. ভবিষ্যতে করোনাভাইরাস রোধে অন্যান্য অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন স্থানের (যেমন: কক্সবাজার, কুয়াকাটা, রাঙামাটি) সাথে তুলনা করে বিনোদন পার্কসমূহকে বন্ধ না করে দেওয়ার পদক্ষেপ নেওয়া। ৬. বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় কর্তৃক জনপ্রিয় থিম ও এমিউজমেন্ট পার্কসমূহ দেশি-বিদেশী পর্যটকদের মাঝে তুলে ধরার লক্ষে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে উদ্যোগ গ্রহন করা। ৭. দেশের বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত বিনোদন পার্ক সমূহে আগত দর্শণার্থীদের বিশেষ নিরাপত্তার জন্য টুরিস্ট পুলিশের ব্যবস্থা করা।  ৮. অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিনোদন পার্কসমূহে কর্মরত সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করা। ৯. গত ২বছরের যাবত বন্ধ থাকায় এই খাতের সাথে জড়িত কর্মচারী-কর্মকর্তাদের মানবেতর জীবন যাপন করেছে, তাই ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের আর্থিক অনুদান প্রদান করা। ১০. আগামী ৩ বছরের জন্য সমস্ত লাইসেন্স ফি মওকুফ করা। ১১. গত ২ বছরের যে সময়গুলো বিনোদন পার্কসমূহ বন্ধ ছিল সেসব মাসের বিদ্যুৎ বিল মওকুফ করা।   বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের পক্ষে প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন, অতিরিক্ত সচিব জনেন্দ্র নাথ সরকার ও বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব এমিউজম্যান্ট পার্কস এন্ড এট্রাকশনস'র সভাপতি শাহরিয়ার কামাল, সাধারণ সম্পাদক প্রবীর কুমার সাহা ও সমন্বয়ক অনুপ কুমার সরকার।     বিডি প্রতিদিন / অন্তরা কবির 


এই পাতার আরো খবর