ডিজিটাল ব্যাংক দেশ ও ভৌগোলিক সীমানা ছাড়িয়ে গ্রাহকদের কাছে পৌঁছানোর মাধ্যমে দেশের গ্রামীণ এলাকা থেকে বিশ্বব্যাপী ব্যবসা-সম্প্রসারণকে সহজ করে তুলতে সক্ষম। এটি দৃশ্যমান শাখা স্থাপন ছাড়াই দেশের বিভিন্ন অংশে গ্রাহকদের সেবা প্রদান করবে।
দ্রুত সারা দেশে ব্যাংকিং ব্যবসা সম্প্রসারণ, বিদ্যমান স্মার্ট গ্রাহক যারা প্রথাগত ব্যাংকিংয়ে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন না তাদের ধরে রাখতে এবং নতুন প্রজন্মের প্রযুক্তি-সচেতন গ্রাহকদের জন্য ডাচ-বাংলা ব্যাংক প্রস্তাবিত ডিজিটাল ব্যাংকে বিনিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ব্যাংকিং কোম্পানি আইন ১৯৯১ (বিসিএ) অনুযায়ী ডিজিটাল ব্যাংকের একজন স্পনসর ১০% এর বেশি শেয়ার ধারণ করতে পারে না। এই লক্ষ্যে দেশের প্রখ্যাত ১০টি ব্যাংক মিলে একটি কনসোর্টিয়াম গঠন করেছে যেখানে প্রত্যেকটি ব্যাংকের ১০% শেয়ার থাকবে। ব্যাংকগুলো হলো সিটি ব্যাংক, ডাচ-বাংলা ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, মিডল্যান্ড ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, এনসিসি ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক এবং ট্রাস্ট ব্যাংক।
ডিজিটাল ব্যাংকের গাইডলাইন অনুযায়ী, প্রস্তাবিত ব্যাংকের ন্যূনতম পরিশোধিত মূলধন হতে হবে ১২৫ কোটি, অর্থাৎ প্রাথমিকভাবে প্রতিটি সদস্য ব্যাংককে ১২.৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। তাই ডাচ-বাংলা ব্যাংক প্রস্তাবিত ডিজিটাল ব্যাংকের ১০% শেয়ারের বিপরীতে ১২.৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে। ব্যাংকের অনুমোদিত মূলধন হবে ২৫০ কোটি টাকা। ডিজিটাল ব্যাংকের নাম হবে ‘ডিজি১০ ব্যাংক পিএলসি’ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ গতকাল সোমবার অনুষ্ঠিত এর ২৭০ তম সভায় উপরোক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক