ফরিদপুর শহরের একটি পরীক্ষা কেন্দ্রে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষা ছিল চরভদ্রাসনের একটি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের। বুধবার ছিল শিক্ষার্থীদের শেষ পরীক্ষা। কিন্তু পরীক্ষা শুরু হলেও ওই কেন্দ্রে এক ছাত্রীকে অনুপস্থিত দেখতে পান কেন্দ্র সচিব। পরে এ বিষয়ে তিনি যোগাযোগ করেন মাদ্রাসার অধ্যক্ষকের সাথে।
অধ্যক্ষ ঐ কিশোরীর বাড়িতে যোগাযোগ করে জানতে পারেন তার বিয়ের অনুষ্ঠান চলছে। বিষয়টি অবগত হয়ে ঐ কেন্দ্রের দায়িত্বে নিয়োজিত জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বিষয়টি চরভদ্রাসনের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেসমিন সুলতানাকে জানান। মাদ্রাসার সনদ অনুযায়ী ওই ছাত্রীর বয়স মাত্র তের বছর। এদিকে ইউএনও একটি প্রশিক্ষণের কাজে ঢাকা অবস্থান করায় তিনি এ বাল্য বিবাহ বন্ধ করার জন্য উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন।
উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শাহানা কাকলী দুপুর দুইটার দিকে গিয়ে বিয়ের আয়োজন প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেন। ওই কিশোরীর বয়স ১৮ হওয়ার আগে বিবাহের আয়োজন করা হবে না মর্মে মুচলেকা আদায় করা হয় ওই কিশোরীর বাবা ও মা স্থানীয় গণমান্যদের কাছ হতে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন গাজীটেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইয়াকুব আলী।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন