করোনা সন্দেহে এক প্রসূতিকে লাঞ্চিত করার অভিযোগ উঠেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর এ নিয়ে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরিস্থিতি প্রশমন করতে জেলা প্রশাসক দ্রুত হস্তক্ষেপ করেন।
সোমবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের শহীদ ডাক্তার মিলনায়তন সভাকক্ষে বিএমএ, স্বাচিপ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং রোগীর স্বজনদের সাথে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন। ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে চিকিৎসক ফৌজিয়া আক্তার তার ভুল স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
বৈঠক শেষে জেলা প্রশাসক হায়াত উদ দৌলা খাঁন জানান, সমস্যার সমাধান করা হয়েছে। এখন থেকে তিনি এই রোগীর সকল চিকিৎসা করবেন বলে দায়িত্ব নিয়েছেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন সকল রোগীদের চিকিৎসা নিশ্চিত করা হবে। বৈঠকে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. শামসুজ্জামান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার, দারুল আরকাম মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা সাজিদুর রহমান, জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষা সচিব মাওলানা আব্দুর রহিম কাসেমী, মুফতি ইউসুফ ভূইয়া, সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাক্তার শওকত হোসেন, বিএমএর সভাপতি ডাক্তার আবু সাইদসহ চিকিৎসকসহ রোগীর স্বামী মাওলানা জুনাইদ আহমেদসহ স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, রবিবার নবীনগর উপজেলার কুড়িঘর গ্রামের মাওলানা জুনাযেদ আহমদ তার গর্ভবতী স্ত্রীকে নিয়ে শহরের কুমারশীল মোড়ে হলিল্যাব হসপিটালে চিকিৎসার জন্য এলে চিকিৎসক ফৌজিয়া আক্তার ওই গর্ভবতী নারীকে করোনা রোগী সন্দেহ করে তীর্যক মন্তব্য করেন। একপর্যায়ে তাকে ধাক্কা মেরে চেম্বার থেকে বের করে দেয়। তখন তিনি চিকিৎসা ছাড়াই বাড়ি ফিরে যান। এ ঘটনার জানাজানি হলে শহরে সমালোচনার ঝড় উঠে। দেখা দেয় চরম উত্তেজনা। সৃষ্ট পরিস্থিতিতে দ্রুত ব্রাহ্মণাবাড়িয়া জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপে সোমবার বৈঠক করে বিষয়টির সমাধান করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল