চায়ের বৈজ্ঞানিক নাম ক্যামেলিয়া। তাই ক্যামিলিয়া নামেই চা চাষীদের জন্য খোলা হয়েছে ‘ক্যামিলিয়া খোলা আকাশ স্কুল’। এই স্কুলে উত্তরবঙ্গের ক্ষুদ্র চা চাষীরা চায়ের গুণগত মান উন্নয়ন এবং চা চাষের নানা পদ্ধতির ওপর প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন।
প্রকল্পটি শুরু হয়েছে গত অক্টোবর মাসে। বর্তমানে প্রতিসপ্তাহে বিভিন্ন গ্রামে চা বাগানের আশেপাশে খোলা মাঠে হাতেকলমে এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। বৃহস্পতিবার এই প্রকল্পের আওতায় তেঁতুলিয়া উপজেলার চায়ের গ্রাম খ্যাত পেদিয়াগজ এলাকায় চা বাগানের পাশে খোলা মাঠে দিনব্যাপী ক্ষুদ্র চা চাষীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ চা বোর্ডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান প্রকল্প উন্নয়ন ইউনিট এই প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করে। বাংলাদেশ চা বোর্ডের প্রকল্প ইউনিটের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ড. এ কে এম রফিকুল এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
তেঁতুলিয়ার প্রায় ৬০ জন ক্ষুদ্র চা চাষী হাতেকলমে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। কর্মশালায় চা আবাদে পাতা চয়ন ও প্লুনিং বিষয়ে বক্তব্য রাখেন চা গবেষণা ইন্সটিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কমকর্তা ড. তৌফিক আহমেদ এবং নিরাপদ ও টেকসই চা উদপাদনের লক্ষ্যে বালাই ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ শামীম আল মামুন। কর্মশালা সঞ্চালনা করেন চা বোর্ডের নর্দান বাংলাদেশ প্রকল্পের উন্নয়ন কর্মকর্তা আমির হোসেন।
চা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল জহিরুল ইসলামের পরিকল্পনায় উত্তরবঙ্গের চায়ের গুণগত মান বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে প্রতিসপ্তাহে পঞ্চগড়ের বিভিন্ন এলাকায় চা বাগানের কাছাকাছি জায়গায় এই স্কুল পরিচালিত হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/কালাম