ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

প্রচণ্ড তাপদাহে পুড়ছে যশোরের আম চাষিদের ভাগ্য
বেনাপোল প্রতিনিধি

গোটা যশোর জুড়ে বইছে প্রচণ্ড তাপদাহ। দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ায় গাছ থেকে ঝরে পড়ছে আমের মুকুল। আমের দ্বিতীয় রাজধানী খ্যাত যশোর অঞ্চলে প্রচণ্ড খরার কারনে এবার আমের কাঙ্খিত ফলন হবে না। কোটি কোটি টাকার ক্ষতির মুখে আম চাষিরা এবার সর্বশান্ত হতে বসেছে।

গেল বছর ঘূূর্ণিঝড় আম্ফান ও করোনাভাইরাসের প্রার্দুভাবের ক্ষতি পুষিয়ে উঠার আশা করছিলেন চাষিরা। এ বছর গাছ ভর্তি আমের মুকুলে হাসি ফুটে উঠে কৃষকের মুখে। কিন্তু প্রচণ্ড তাপাদহে আমচাষিদের সেই স্বপ্ন পুড়তে শুরু হয়েছে। বর্তমানে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বয়ে যাচ্ছে যশোর অঞ্চল দিয়ে। আম বাগানগুলোতে মুকুল আশার সাথে সাথে বেশি লাভের আশায় যত্ন শুরু করেন চাষিরা। কিন্তু প্রচণ্ড দাবাদহে প্রতিদিনই বোঁটা থেকে ঝরে পড়ছে ছোট বড় আম।

শার্শা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৌতম কুমার শীল জানান, এবছর শার্শা উপজেলায় তিন হাজার বিঘা জমিতে আম চাষ করছেন এক হাজারেরও বেশি কৃষক। দেশিলেংড়া, ফজলী, রোপালী, হিমসাগর, গোপালভোগ, আম্রপালী, মল্লিকা জাতসহ অন্তত ২৭৫ আমের বাগান রয়েছে গোটা এলাকায়। দেশের দ্বিতীয় বড় আমের হাট শার্শার বাগআঁচড়া এলাকা জুড়ে কোটি কোটি টাকা লগ্নি করে আম ব্যবসায়িরা। আমচাষের সাথে জড়িত মৌসুমি প্রায় ২০ হাজার শ্রমিক। তারা দিনরাত আমের গুটি ঝরা বন্ধ এবং ক্ষতিকর পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য পরিচর্যা করে যাচ্ছে।

উপজেলার সামটা গ্রামের মফিজুর রহমান বলেন, এবছর আম গাছে অনেক গুটি এসেছিল কিন্তু প্রচণ্ড তাপে আমাদের সব স্বপ্ন পুড়ে যাচ্ছে। গাছের গোড়ায় পানি ঢেলেও রক্ষা করা যাচ্ছে না আমের মুকুল। দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ায় এবছর আমের ফলন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

স্থানীয় হাড়িখালী গ্রামের আম ব্যবসায়ি সালাম জানান, বাগান মালিকদের বিঘা প্রতি অগ্রিম ৪০-৪৫ হাজার টাকা দিতে হয়। আবার বাগান পরিচর্যার কাজে প্রায় ১০-১২ হাজার টাকা ব্যয় করতে হয়। আম চাষে এখন লাভ তো দূরের কথা খরচের টাকাও উঠবে না। শুধু শার্শা নয়, এ অবস্থা বিরাজ করছে আমের উৎপাদনে শীর্ষ অবস্থানে থাকা কলারোয়া, চৌগাছা, মহেশপুর এলাকার চাষিরা। ক্ষতিগ্রস্ত আমচাষীরা ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে সরকারের কাছে প্রণোদনার দাবি জানিয়েছেন।

বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ



এই পাতার আরো খবর