কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নের ছোটকুষ্টারি গ্রামে শনিবার সন্ধ্যায় নিজ শয়নকক্ষ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় নুরুন হুজ্জাতুন (২০) নামে এক গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় রবিবার সকালে নিহতের বাবা ৫ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ দুপুরে শ্বশুর মতিয়ার রহমান (৬০) ও শাশুড়ি আম্বিয়া খাতুন (৫০)কে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরণ করে। তবে ঘটনার পর থেকে স্বামী আরিফুল ইসলাম পলাতক রয়েছে। গৃহবধূর পারিবারিক সূত্র জানায়, ওই এলাকার মতিয়ার রহমানের ছেলে এবং প্রাইভেট কোম্পানীতে কর্মরত আরিফুল ইসলামের (৩০) সাথে রমনা ইউনিয়নের শরীফের হাট এলাকার আক্তারুজ্জামানের কন্যা নুরুন হুজ্জাতুনের সাথে প্রায় তিন বছর পূর্বে বিবাহ হয়। তাদের সংসারে নেহা নামে ৭ মাসের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। ঈদের দ্বিতীয় দিন শনিবার বিকেলে আরিফুলের স্ত্রী হুজ্জাতুন বাবার বাড়ি বেড়ানোর কথা বলেন। এনিয়ে শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাকে বাঁধা দিলে তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে তুমুল ঝগড়া হয়। এ ঘটনার জেরে গৃহবধূর মরদেহ প্রতিবেশীরা দরজা ভেঙে ঘরের ভেতর সিলিং ফ্যানে গলায় ওড়না জড়ানো অবস্থায় দেখতে পান। পরে পুলিশে খবর দিলে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় নিহতের পিতা আক্তারুজ্জামান মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে দাবি করে ৫জনের নামে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করলে পুলিশ নিহতের শ্বশুর মতিয়ার রহমান ও শ্বাশুরী আম্বিয়া খাতুনকে গ্রেপ্তার করে। এরপর রবিবার দুপুরে তাদের জেল হাজতে প্রেরণ করে।
চিলমারী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ারুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কুড়িগ্রাম মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার