ঢাকা, বুধবার, ১৭ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

২৮ দিন পর পুলিশ হেফাজত থেকে মুক্তি পেল ৪ গরু
বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
পুলিশ হেফাজত থেকে মুক্তি পাওয়া ৪ গরু।

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় চুরি সন্দেহে আটককৃত ৪টি গরু ২৮ দিন পর নির্দোষ প্রমাণিত হয়ে পুলিশ হেফাজত থেকে মুক্তি পেয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে গরু ৪টি মালিকের নিকট ফেরত দিয়েছে পুলিশ। একইসঙ্গে চুরির সাথে জড়িত প্রমাণিত না হওয়ায় মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে গরুগুলোর মালিক লিটন শেখকে।

জানা গেছে, গত ১০ মে দিবাগত রাতে উপজেলার বানা ইউনিয়নের বেলবানা গ্রামের আবু সাইদ মোল্যার একটি গরু তার বাড়ি থেকে চুরি হয়। এর দুইদিন পর পার্শ্ববর্তী হেলেঞ্চা গ্রামের বাচ্চু শেখের ছেলে মো. লায়েক শেখের মাংসের দোকান থেকে চুরি যাওয়া গরুর চামড়া উদ্ধার করে পুলিশ। পরে জিজ্ঞাসাবাদে লায়েক শেখ গরু চুরির কথা স্বীকার করেন। এসময় লায়েক শেখের কাছ থেকে আরও ৪টি গরু আটক করা হয়।

এ ঘটনায় গত ১৩ মে আলফাডাঙ্গা থানায় একটি মামলা করে মো. আবু সাইদ মোল্যা। এ মামলায় আসামি করা হয় গরুর মালিক লিটন শেখকেও। জানা যায়, কুয়েত প্রবাসী লিটন শেখ ব্যবসায়ীক প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য মাংস ব্যবসায়ী লায়েক শেখের কাছে গরু ৪টি পালন করতে দেন।

পরে মামলার বাদী মো. আবু সাইদ মোল্যা এ ব্যাপারে লিখিত অঙ্গীকারনামা দেন যে জব্দকৃত ওই ৪ গরু তার নয়। আবু সাইদ মোল্যা ফরিদপুর ৭ নম্বর আমলী আদালতের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট এই মর্মে লিখিত দেন যে, লিটন শেখ তার আসামি না। তাই তাকে জামিনে মুক্তি দিলে তার কোনো আপত্তি থাকবে না।

আলফাডাঙ্গা থানা পুলিশ কর্তৃক জব্দকৃত ৪টি গরুর মালিকানা যাচাই করে দাখিলকৃত প্রতিবেদন যথাযথ না হওয়ায় আদালত পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) পুনরায় তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

পিবিআই তাদের তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, লিটন শেখ একজন কুয়েত প্রবাসী। করোনার কারণে নিজেকে বেকারত্ব মনে করে মাংস ব্যবসায়ী লায়েক শেখের অনুরোধে ব্যবসার উদ্দেশ্যে মামলার জব্দকৃত চারটি গরু কিনে দেন। জব্দকৃত চারটি গরুর প্রকৃত মালিক লিটন শেখ। প্রতিবেদন প্রাপ্তির পর জব্দকৃত গরু ৪টির প্রকৃত মালিকানা নিশ্চিত হওয়ার পর বৃহস্পতিবার গরুগুলো লিটন শেখের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছে আলফাডাঙ্গা থানা পুলিশ।

বিডি প্রতিদিন/এমআই



এই পাতার আরো খবর