ঢাকা, শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

পাবনায় পূর্তভবনে অস্ত্রের মহড়া : সেই আওয়ামী লীগ নেতাদের দল থেকে অব্যাহতি
পাবনা প্রতিনিধি
পাবনায় গণপূর্ত ভবনে ঠিকাদার আওয়ামী লীগ নেতারা অস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করেন। ছবি : সিসিটিভির ফুটেজ থেকে নেওয়া

পাবনা গণপূর্ত ভবনে অস্ত্র নিয়ে মহড়ার ঘটনায় দুই আওয়ামী লীগ নেতাকে দল থেকে অব্যাহতি  দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে কেন তাদের স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে না জানতে চেয়ে কারণ দর্শানোর নোটিষ দেওয়া হয়েছে। বুধবার পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক প্রিন্স এমপি স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে নোটিশ দেওয়া হয়। 

শোকজ প্রাপ্তরা হলেন, পাবনা পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহসীন রেজা খান মামুন (এম আর খান মামুন) এবং পাবনা সদর উপজেলার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক ফারুক হোসেন ওরফে হাজী ফারুক। দলের সব পদ থেকে কেন স্থানীভাবে তাদের বহিষ্কার করা হবে না, ১৫ দিনের মধ্যে এর কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে এই চিঠির অনুলিপি দেওয়া হয়েছে। 

এদিকে, একই অভিযোগে পাবনা জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শেখ আনোয়ার হোসেন ওরফে শেখ লালুকে যুবলীগ থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ করেছে পাবনা জেলা যুবলীগ। জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আলী মর্তুজা বিশ্বাস সনি বলেন, বুধবার আমরা শেখ লালুকে বহিষ্কারের সুপারিশ কেন্দ্রে পাঠিয়েছি। 

এ ব্যাপারে পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল রহিম লাল ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক প্রিন্স এমপির সঙ্গে কয়েকবার মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তাদের মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। রাজশাহীর বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামালের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনিও ফোন রিসিভ করেননি। 

জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মনির উদ্দিন আহমেদ মান্না ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক প্রিন্স এমপির স্বাক্ষর করা চিঠি শোকজ প্রাপ্ত মহসীন রেজা খান মামুন (এম আর খান মামুন) এবং হাজী ফারুকের বাড়ী পৌছে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া দলের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার কাছে ওয়াটসআপ ও কুরিয়ার করে পাঠানো হয়েছে। 

গত ৬ জুন দুপুরে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক হাজী ফারুক, পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এম আর খান মামুন এবং জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শেখ লালুর নেতৃত্বে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ জনের একটি দল একাধিক আগ্নেয়াস্ত্র হাতে নিয়ে গণপূর্ত ভবনে আসেন। আগতরা বিভিন্ন কক্ষে প্রবেশ করে নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ারুল আজিমকে খুঁজতে থাকেন। তাদের সশস্ত্র মহড়ার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ না থাকলেও পুলিশ নিজ উদ্যোগে ঘটনার তদন্তে নামে। জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির বৈঠকে বিষয়টি উত্থাপন হলে, জেলাজুড়ে সমালোচনা শুরু হয়। ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ছড়িয়ে পড়লে, গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। এরপর পুলিশ আগ্নেয়াস্ত্রগুলো জব্দ করে। তদন্তে বৈধ অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহারের বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় মঙ্গলবার লাইসেন্স বাতিলের সুপারিশ জানিয়ে প্রতিবেদন দেয় জেলা পুলিশ। 

বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ



এই পাতার আরো খবর