ঢাকা, বুধবার, ২৪ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

খানসামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
রোগীর চিকিৎসা চলছে মেঝেতে, সেবা দিতে হিমশিম
দিনাজপুর প্রতিনিধি
মেঝেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন জ্বর, শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীরা।

দিনাজপুরের খানসামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জ্বর, শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালের বেডে জায়গা সংকুলান হচ্ছে না। ফলে মেঝেতে ও বারান্দায় থেকে সেবা নিচ্ছেন রোগীরা। হাসপাতালের ইনডোরে করোনা আইসোলেশন ইউনিট, নারী ওয়ার্ড, প্রসূতি ওয়ার্ড ও পুরুষ ওয়ার্ডের প্রতিটি বেডেই রোগী। সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতালের চিকিৎসক-স্টাফরা। 

অপরদিকে, জরুরি বিভাগ, আউট ডোর, এএনসি, কেএমসি ও পিএনসি সেবা এবং আইএমসিআই কর্নারেও প্রতিদিন সেবা নিচ্ছে ৩০০-৪০০ রোগী। ৩১ শয্যার হাসপাতালে এখন ভর্তি রয়েছে ৭০ জন রোগী। মেঝেতেও রোগীর জায়গা না হওয়ায় ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় পর্যাপ্ত বরাদ্দ ও জনবল সংকট থাকার পরেও সীমিত জনবল ও বারদ্দ দিয়ে করোনা ঝুঁকির মধ্যেই স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে যাচ্ছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক, নার্স-মিডওয়াইফ ও স্বাস্থ্য কর্মীরা।

খানসামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, মার্চের শুরু থেকে জ্বর-ডায়রিয়া রোগী বাড়লেও এখন প্রতিদিন হাসপাতালের ইনডোরে চিকিৎসাধীন রোগী ৬৫-৭০ জন। নিয়মিত ২৫-৩০ জন রোগী চিকিৎসার জন্য ভর্তি হচ্ছে এবং ২০-২৫ জন রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছে। এর অধিকাংশ জ্বর, শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী।

অপরদিকে, গত এক সপ্তাহে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাভাবিক সন্তান প্রসবের সংখ্যা ১৫ জন। টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে ঘরে থেকেই যেকোনো চিকিৎসা নিতে জনগণের আগ্রহ বাড়াতে প্রচার-প্রচারণা অব্যাহত রেখেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। ফলে স্বাস্থ্য সেবার মানের দিক বিবেচনায় গত বছর বিভাগের মধ্যে কয়েকবার জেলার মধ্যে শ্রেষ্ঠ হয় খানসামা উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।

জানা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নামেই ৫০ শয্যার। এখনো প্রশাসনিক কোনো অনুমোদন মেলেনি। আগের ৩১ শয্যারও জনবলই সংকট আছে। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসকের সংখ্যা ছয়জন, নার্স-মিডওয়াইফের সংখ্যা ১৫ জন। যেখানে এই হাসপাতালে শূন্য পদের সংখ্যা চিকিৎসক পদে ৯টি, নার্স-মিডওয়াইফ পদে পাঁচটি, তৃতীয় শ্রেণির ২০টি পদ এবং চতুর্থ শ্রেণির পাঁচটি পদ।

আমিনুলসহ আরও কয়েকজন রোগী বলেন, জ্বর, মাথাব্যথা ও কাশি নিয়ে হাসপাতালে এসেছি। হাসপাতালে সেবার মান ভালো। কিন্তু ডাক্তার কম হওয়ায় সেবা নিতে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষায় থাকতে হয়, যা ভোগান্তিকর।

খানসামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডা. শামসুদ্দোহা মুকুল বলেন, জনবল ও বরাদ্দ সংকটের মধ্যেও করোনা ঝুঁকি নিয়েই স্বাস্থ্যকর্মীরা রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিন ১০ জন ডায়েরিয়া রোগী আসছে। ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যার প্রশাসনিক অনুমোদন পেলে স্বাস্থ্য সেবার মান আরো কয়েকগুণ বৃদ্ধি হবে। এজন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগযোগ অব্যাহত আছে।

বিডি প্রতিদিন/এমআই



এই পাতার আরো খবর