ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

ঘুমের ওষুধ খাইয়ে পরপর দুই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা
অনলাইন ডেস্ক
প্রতীকী ছবি

কক্সবাজারের চকরিয়ায় দুই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। ঘুমের ওষুধ খাইয়ে পরপর দুই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) রাতে থানায় মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত আবু হাসান মো. ইব্রাহিম জুয়েলকে (২১) এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। জুয়েল একই এলাকার জয়নাল আবেদীন ওরফে জনু মাঝির ছেলে। তাকে ধরতে পুলিশ এবং অন্য একটি বাহিনীর সদস্যরা অভিযান শুরু করেছে। গতকাল শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত ধর্ষককে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।

গত বৃহস্পতিবার রাতে থানায় মামলা দায়ের করেছেন ধর্ষণের শিকার দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীর বাবা। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ৯ (১) ধারায় মামলাটি রুজু করা হয়। মামলার এজাহারে ঘটনার বর্ণনা অনুযায়ী, মঙ্গলবার সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থীর মা-বাবা অসুস্থ এক সন্তানকে পাশের উপজেলা মহেশখালীতে কবিরাজের কাছে নিয়ে যান চিকিৎসা করাতে। এ কারণে সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থীর পুরো বাড়ি ফাঁকা হয়ে পড়ে। তাই পাশের বাড়ির অনেকটা সমবয়সী দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীকে বাড়িতে রাতে থাকার জন্য অনুরোধ করে সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। এই সুযোগে যুবক ইব্রাহিম সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থীর বাড়িতে কৌশলে ঢুকে পড়ে। এ সময় ধারালো ছোরার ভয় দেখিয়ে প্রথমে দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীর সাথে শারীরিক সম্পর্ক করে এবং ঘুমের ওষুধ খাইয়ে দেয়। এতে দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ঘুমিয়ে পড়লে সেই সুযোগে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থীকেও। এ সময় সপ্তম শ্রেণীর ওই শিক্ষার্থী চিৎকার দিলে দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীর ঘুম ভেঙে যায়। এই অবস্থায় দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী পুলিশের জাতীয় জরুরি সেবার নম্বর ৯৯৯ এ ফোন করে। পরে পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। ঘটনার পর ধর্ষক আবু হাসান মো. ইব্রাহিম জুয়েল পালিয়ে আত্মগোপনে চলে যায়।

এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার ওসি শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের জানান, ‘৯৯৯-এ ফোন করার পর পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এর পর পরিবারকে নির্দেশ দেওয়া হয় দুই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করাতে। সেখানে ভর্তি হওয়ার পর ডাক্তারি পরীক্ষার রিপোর্টে ধর্ষণের আলামত মিলেছে বলে জানা গেছে। দুই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষক আবু হাসান মো. ইব্রাহিম জুয়েলকে আসামি করে দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে থানায় মামলা মামলা করেছেন। পুলিশের একটি টিম ধর্ষককে গ্রেফতারে বিভিন্নস্থানে অভিযান অব্যাহত রেখেছে। তাকে ধরতে প্রযুক্তির সহায়তাও নেওয়া হচ্ছে।’

বিডি প্রতিদিন/ফারজানা



এই পাতার আরো খবর