ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

হালুয়াঘাটে মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেফতার
হালুয়াঘাট (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
থানা পুলিশের হাতে গ্রেফতার গোলাম মোস্তফা।

অভাবের সংসারে ছোট দুই ভাইকে সাথে নিয়ে রূপকথার মতো জীবন সাজাতে চেয়েছিলেন মা হারা এক কিশোরী। কিন্তু তার এই স্বপ্নে খলনায়ক বনে যান নিজের বাবা। মাত্র ১৬ বছর বয়সেই নিজের বাবার কাছে অনৈতিক সম্পর্ক ও শারীরিক নির্যাতনের শিকার হন ওই কিশোরী। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার ১১ নম্বর আমতৈল ইউনিয়নে।

এ ঘটনায় রবিবার সকালে ভুক্তভোগীর দাদি ও এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ঘটনার মূলহোতা ও অভিযুক্ত বাবা মো. গোলাম মোস্তফাকে (৪০) আটক রেখে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। পরে ওই কিশোরীকে হালুয়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শারীরিক পরীক্ষা শেষে থানা হেফাজতে নেওয়া হয় বলে নিশ্চিত করেন হালুয়াঘাট থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক মো. আতোয়ার রহমান।

কর্তব্যরত চিকিৎসক (সহকারী সার্জন) ইসরাত জাহান জানান, কিশোরীর হাত ও পায়ে আঘাতের চি‎হ্ন রয়েছে। ধর্ষণ বিষয়ে দুই ধরনের আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। ল্যাবে পরীক্ষা শেষে চূড়ান্ত তথ্য পাওয়া যাবে।

ভয়াবহ নির্যাতনের কথা স্বীকার করে কিশোরী জানান, গত মঙ্গলবার দুপুরে ঘরে একা পেয়ে আমার সাথে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। বিষয়টি প্রতিবাদ করায় অকথ্য ভাষায় গালাগালিসহ শারীরিক নির্যাতন চালায়। গতরাতেও একই কাণ্ড করতে বাধ্য করলে তাৎক্ষণিক দাদিকে বিষয়টি খুলে বলি। তারপর কোনো মতে রক্ষা পাই। এমন কর্মকান্ডে লম্পট বাবার উপযুক্ত বিচার দাবি করেন ওই কিশোরী।

অভিযুক্তের চাচা কামরুল ইসলাম জানান, প্রতিদিনের মতো আজও ধর্ষণের চেষ্টা চালায় মোস্তফা। শুধু ধর্ষণেই ক্ষান্ত হয়নি, চালিয়েছে নির্মম নির্যাতন। ভুক্তভোগী কিশোরীর দাদি বিষয়টি আমাকে অবহিত করলে স্থানীয় ইউপি সদস্যের সহায়তায় তাকে আইনের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান শফিক বলেন, স্থানীয় ইউপি সদস্যের মাধ্যমে আমি বিষয়টি অবগত হই। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ থানা পুলিশকে জানালে দ্রুত ব্যবস্থা নেয় প্রশাসন। এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনায় লম্পট বাবার সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান তিনি।

বিষয়টি নিশ্চিত করে হালুয়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, এ ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে তাৎক্ষণিক পুলিশ প্রেরণ করা হয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে থানা হেফাজতে আনা হয়। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

বিডি প্রতিদিন/এমআই



এই পাতার আরো খবর